রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত; দু’পক্ষের কথায় মিললো যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত

|

ছবি: সংগৃহীত।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের এখন যেন দুই রূপ। একদিকে চলছে মুহুর্মুহু হামলা-পাল্টা হামলা। অন্যদিকে, সংঘাত বন্ধে কূটনীতির টেবিলে চলছে দৌঁড়ঝাপ। সংঘাত শুরুর পর থেকেই মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেয় বিভিন্ন পক্ষ। অভিযান শুরুর তিন সপ্তাহ পর অবশেষে ইউক্রেন-রাশিয়া সমঝোতার আভাস মিললো। সংঘাত বন্ধে মস্কো-কিয়েভ দুই তরফ থেকেই ইতিবাচক বার্তা এসেছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) মস্কো গিয়ে বৈঠক করেন, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে। যাতে এতদিন আক্রমণাত্মক অবস্থানে থাকা মস্কো সুর নরম করেছে অনেকটাই। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, কিছু বিষয়ে সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ার পথে।

ল্যাভরভ বলেন, সুইডেন-নরওয়ের মতো আমরা ইউক্রেনকেও একটি নিরপেক্ষ দেশের ভূমিকায় দেখতে চাই। এক্ষেত্রে দেশটির নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বও নিশ্চিত করা হবে। এর পাশাপাশি ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে ন্যাটোর সীমানা বিস্তার বন্ধ করতে হবে। পশ্চিমারা মূলত মস্কো-কিয়েভ সমঝোতা চায় না। বরং উত্তেজনা উস্কে দিয়ে স্বার্থ হাসিল করতে চায়।

ল্যাভরভ আরও বলেন, এই সংকট রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে। তাই সমঝোতার জন্য কিয়েভ-মস্কোকেই এগিয়ে আসতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপের কোনো দেশই এই সংকট সমাধানে অগ্রগামী হবে না। বরং পশ্চিমা শক্তি বারবার আমাদের আলোচনার টেবিল থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

শুরু থেকেই রাশিয়ার আপত্তি, ইউক্রেনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে। সোমবারই কিয়েভ স্পষ্ট করেছে, ন্যাটোতে যাবে না তারা। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি নিজেও মস্কোর সাথে সমঝোতায় অগ্রগতির বার্তা দেন।

জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার সাথে সমঝোতার জন্য আমাদের প্রত্যেক কর্মকর্তা-প্রতিনিধি দিনরাত কাজ করছেন। কারণ, চুক্তির মাধ্যমেই ইতি ঘটে যেকোনো যুদ্ধের। আশার কথা হলো রাশিয়ার সাথে সমঝোতার বিষয়টি আশার আলো দেখতে শুরু করেছে। তবে আমরাও নিরাপত্তার গ্যারান্টি চাই।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply