ছয় মাসে দেশে ফিরেছে অবৈধভাবে লিবিয়া যাওয়া এক হাজার বাংলাদেশি

|

অবৈধপথে লিবিয়া যাওয়া প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন গত ছয় মাসে। এদের বেশিরভাগেরই গন্তব্য ছিল ইতালি। এছাড়াও লিবিয়ার কারাগার আরও ২৮১ জন অবস্থান করছেন। তারাও অপেক্ষা করছেন দেশে ফেরার। লিবিয়াতে আটক হওয়াদের দেশে ফেরাতে সহায়তা করেছে আইওএম ও বাংলাদেশ দূতাবাস।

বিপজ্জনক আর অবৈধ যাত্রায় বেশিরভাগের লক্ষ্য থাকে ইউরোপের মাটিতে পৌঁছানো। জীবিকার প্রয়োজনে নৌকায় বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রার ঝুঁকি নেন অনেকে। কিন্তু বেশিরভাগই পৌঁছাতে পারেন না কাঙ্খিত দেশে। দুর্ঘটনায় ভূমধ্যসাগরে নির্মম সলিল সমাধি ঘটে অনেকের। আর বাকিরা ধরা পড়েন আশেপাশের দেশগুলোর পুলিশের হাতে। শেষ পর্যন্ত তাদের ঠাঁই হয় আটক শিবিরে।

ঝুঁকিপূর্ণ এমন অভিভাসন ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন পরারাষ্ট মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন।

তবে থেমে নেই অবৈধভাবে বিদেশে অনুপ্রবেশের জোয়ার। এমনই একজন গোপালগঞ্জের হোসেন মিয়া। করোনায় ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় ধার করে ইতালি পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্ত নেন। আশা ছিল পরিবারে আনবেন আর্থিক স্বচ্ছলতা। কিন্তু দালালের খপ্পরে পড়ে ১৮ লাখ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত হন হোসেন। পাশাপাশি অবৈধ অনুপ্রবেশর দায়ে ভোগ করেন অমানবিক নির্যাতন। হোসেন মিয়ার মত এমন অনেকে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে আফ্রিকা, ইউরোপের দেশগুলোতে আটক হচ্ছেন। সেখানে নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অনেকে। যেসব দেশের অভিবাসীরা এ পথে আসছেন, তার মধ্যে ফ্রন্টেক্সের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply