চীনে ভয়াবহ হয়ে উঠছে ডেল্টাক্রনের সংক্রমণ

|

ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধের ডামাডোলে করোনা মহামারিকে বিশ্ব অনেকটা ভুলতে বসলেও করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত চীনে নতুন করে বিস্তার লাভ করছে ভাইরাসটি। দেশটির জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- সিডিসি বলছে, ডেল্টা এবং ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের পরিবর্তিত রূপ ডেল্টাক্রনের কারণেই এ ভয়াবহতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন উপসর্গ ততোটা জোরালো না হলেও দীর্ঘমেয়াদে মানবদেহের ক্ষতি করছে করোনা।

একের পর এক লকডাউন, গণ নমুনা পরীক্ষা আর চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েও চীন ঠেকাতে পারছে না, নতুনভাবে করোনার বিস্তার। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে হচ্ছে ক্লাস্টার বা গুচ্ছ সংক্রমণ।

চীনের জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এর পেছনে ডেল্টাক্রন দায়ী করছে। এর আগে, ফ্রান্স-নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কে শনাক্ত হয় ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের এ মিশ্রিত ও পরিবর্তিত রূপ।

সিডিসির প্রধান গবেষক উ জুনইও বলেন, চীনে ডেল্টাক্রনের বিস্তারের কথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করেছে। পরিবর্তিত রূপ ‘এ ওয়াই- ফোর’ এবং ‘বি এ-ওয়ান’ সেক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। মৃদু উপসর্গ থাকায় নমুনা পরীক্ষার আগে ধরাও পড়ছে না এ ভ্যারিয়েন্ট। তবে, এখনই সেটিকে সাধারণ জ্বরের কাতারে ফেলা যাবে না।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপাতদৃষ্টে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না ঠিকই; তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি ক্ষতি করছে মানবদেহের। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিটির কোভিড বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রধান লিয়াং ওয়ানিয়ান বলেন,
আমরা ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়ছি ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরি নির্মূল করতে পারছি না। কারণ- অ্যান্টিজেন বা নিউক্লিক এসিড টেস্টেও এখন ধরা পড়ছে না এর সংক্রমণ। সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্য হলো- উপসর্গ মৃদু হলেও; দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি হচ্ছে মানবদেহের।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই, চীনের টেক হাব হিসেবে পরিচিত- শেনজেনের এক কোটি ৭৫ লাখ মানুষকে দু’সপ্তাহ লকডাউনে রাখে সরকার। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় এখনো ঘরবন্দি কোটি মানুষ। এছাড়া, বন্দরে পণ্য আমদানি-রফতানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply