নেত্রকোণায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়ম, চাল পাচ্ছেন না তালিকাভুক্তরা

|

নেত্রকোণায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় নাম থাকলেও হতদরিদ্র অনেক মানুষ চাল পাচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে, এই চাল বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা।

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির এই সময়ের মধ্যে হতদরিদ্রদের কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল। তবে গরিবের এই চাল নিয়েও নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোণা সদরের ঠাকুরাকোণা ইউনিয়নে।

কার্ডধারীরা মাসে ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারেন। প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ও নভেম্বরে এই কার্যক্রম চলে। গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসেও অনেকে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। ডিলার শেখ কেরামত আলী উপকারভোগীদের চাল না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কালোবাজারে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ আছে। জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও ফল মেলেনি বলে জানায় স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্টা করেও অভিযুক্ত ডিলারকে পাওয়া যায়নি। আর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, এ বিষয়ে কিছুই জানা নেই তার। কোনো অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। যদিও ইউনিয়ন খাদ্য বান্ধব কমিটির সভাপতি তিনিই।

ঠাকুরাকোণা ছাড়াও আরও অনেক ইউনিয়নেই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ আছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাকারিয়া মুস্তফার দাবি, কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, নেত্রকোণার ৮৬টি ইউনিয়নে ১৭১ জন ডিলারের মাধ্যমে ৬৪ হাজার উপকারভোগীকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply