ঠাকুরগাঁওয়ে আলুর বাম্পার ফলন, সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে কৃষক

|

ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি বিশেষভাবে আলুচাষের উপযোগী। অনুকূল আবহাওয়ায় এবার ফলনও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। তবে তা সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। জেলার হিমাগারগুলোতে অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হচ্ছে চাষিদের। জেলায় হিমাগার বাড়ানোর দাবিও তুলছেন তারা। চলতি বছর জেলায় আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ লক্ষ মেট্রিক টন। অথচ জেলার হিমাগারগুলোতে ধারণক্ষমতা মাত্র ১ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন।

হিমাগারের বাইরে দেখা যায় আলুবাহী গাড়ির কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ সারি। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকেরা আলু এনেছেন সংরক্ষণের জন্য। কারো কারো অপেক্ষা গড়িয়েছে তৃতীয় দিনে। এই চিত্র ঠাকুরগাঁওয়ের ১৬টি হিমাগারে। কয়েকটিতে জায়গা না থাকায় এরই মধ্যে বন্ধ হয়েছে কৃষকের কাছ থেকে আলু নেয়া।

এবছর ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ৩০ হাজার হেক্টরে। ফসল তোলার মৌসুমে প্রত্যাশিত দামও পাচ্ছেন না কৃষক। ফলে বাড়তি আলু সংরক্ষণ ও সরকারিভাবে বাজারমূল্য নির্ধারণের দাবি করছেন কৃষকরা।

নতুন হিমাগার তৈরি হলে চাষিদের সংকট কমবে বলে মনে করেন ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক আবু হোসেন।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply