রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পাইপ লাইনে গ্যাস নেই, জ্বলছে না চুলা। গ্যাস একটু একটু আসলেও তা দিয়ে রান্না হচ্ছে না। ইফতার, রাতের খাবার, সেহেরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় নগরবাসী। হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা, সেখানেও দীর্ঘ সারি, সামাল দিতে পারছে না খাবার বিক্রেতা। রমজানের দ্বিতীয় রাত এমন সংকটেই পার করেছেন রাজধানীর অনেক মানুষ। সিলেটের বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে মেরামতের জন্য এই সংকট। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে দ্রুতই মিলবে সমাধান।
চুলায় গ্যাস না থাকায় বাসার আঙ্গিনায় মাটির চুলায় রান্না করতে দেখা গেছে কর্মজীবী গৃহিণী ফারজানা ইয়াসমিনকে। ফারজানা জানালেন, অফিস থেকে ফিরে তিনি দেখেন গ্যাস নেই। রাজধানীর উত্তর গোরানের এই নারী রাত ১১ টায় রাতের খাবার ও সেহেরি রান্না করছেন মাটির চুলায়। ফারজানার মত এমন অসংখ্য নগরবাসী গ্যাস না থাকায় রান্না ও খাবার নিয়ে পড়েছেন ভোগান্তিতে। সারাদিন অপেক্ষার পর রাতেও জ্বলেনি গ্যাসের চুলা।
এদিকে বাসায় রান্না করতে না পেরে গলির খাবারের দোকানে ভিড় করেছেন কেউ কেউ। তবে চাপ বাড়ায় সেখানেও লম্বা সারি। মধ্যরাতে বাড়তি মানুষের চাপ সামাল দিতে পারছেন না বিক্রেতা।
দেশের বড় গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি বিবিয়ানা। সেই ক্ষেত্রের ছয়টি কূপ বন্ধ। যার প্রভাব পড়েছে ঢাকায়। সংকট কাটতে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। রোববার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের সৃষ্টি হতে পারে।
এরপর সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় আরও একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্রের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের জন্য গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি জনিত কারণে কিছু কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে কোনো কোনো এলাকায় সাময়িকভাবে সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে।
/এডব্লিউ
Leave a reply