পাহাড়ি ঢল অব্যাহত, সুনামগঞ্জের নদীগুলোতে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে পানি

|

উজানের পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সুরমা নদীসহ সব কয়টি শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল নাগাদ পাটলাই, বৌলাই, কালনী ও যাদুকাটা নদীতে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে পানি।

আর পাহাড়ি ঢলে ক্রমাগত ফিকে হয়ে যাচ্ছে হাওরের কৃষকের স্বপ্ন। ফসল হারিয়ে দিশেহারা চাষীদের এখন চিন্তা মহাজনের ঋণ। খেয়ে না খেয়ে বছর কাটাতে পারলেও চড়া সুদের ঋণ কীভাবে পরিশোধ হবে তা নিয়েই ভাবনা। যদিও জেলা প্রশাসক বলছেন, ব্যাংক আর এনজিও ঋণের কিস্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন তারা। কিন্তু মহাজনের ঋণের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া দুস্কর।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) তাহিরপুরের খাইজ্জাউড়ি হাওড়ে বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়ে পানি। মুহূর্তেই ভেসে যায় হাওরের চাষিদের স্বপ্ন। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তাদের কেউ কেউ।

হাওরের কৃষক কালা মিয়া মহাজনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ১২ কেয়ার জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলেন এবছর। আশা ছিল ২০০ মন ধান তোলার। মহাজনকে দেবেন ১শ মন। বাকি ধানে চলবে এক বছরের খরচ। কিন্তু সবই ভেসে গেলো জলে। কালা মিয়ার মতো যাদের ফসল নষ্ট হয়েছে মহাজনের ঋণ পরিশোধই এখন তাদের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা।

এদিকে, ব্যাংক ও এনজিও ঋণের কিস্তিতে হস্তক্ষেপ করার আশ্বাস থাকলেও মহাজনের ঋণে তেমন কিছুই করার নেই বলে জানালেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার পর্যন্ত ছোট-বড় প্রায় ১৩টি হাওরে ঢলের পানি ঢুকে ৮ হাজার হেক্টর বোরো ফসল নষ্ট হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে আরও ২০টি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply