ঈদ যাত্রায় লঞ্চ এখন আতঙ্কের নাম, দুর্ঘটনা এড়াতে পদক্ষেপ চলছে, দাবি সংশ্লিষ্টদের

|

সাম্প্রতিক সময়ে কিছু লঞ্চ দুর্ঘটনা।

কয়েকদিনের মধ্যেই রাজধানী ছেড়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করবে দেড় কোটি মানুষ। এর মধ্যে ৪০ লাখই নৌপথের যাত্রী। ঝালকাঠীতে ‘অভিযান-১০’এ অগ্নিকাণ্ড, শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবিসহ বেশ কিছু নৌ দুর্ঘটনায় যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যদিও লঞ্চ মালিক ও বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা।

বরিশালে ২২ মার্চ অগ্নি প্রতিরোধক মহড়া হয় অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চে। এর ৫ দিনের মাথায় সদরঘাটে আগুন লাগে লঞ্চটিতে। ডিসেম্বরে ঝালকাঠীতে অভিযান-১০ এ ব্যাপক হতাহতের পর, বিভিন্ন রুটের লঞ্চে আগুন আতঙ্ক ছড়ায় বহুবার। তুলনামূলক নিরাপদ ও আরামদায়ক হওয়ায় লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা সব সময়েই বেশি। তবে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া একাধিক দুর্ঘটনার কারণে দুশ্চিন্তায় যাত্রীরা।

নৌ ভ্রমণে আগের আস্থা ফিরিয়ে আনাই লঞ্চ মালিকদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নানা প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থারসহ সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু। তিনি বলেন, নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার সব করা করা হচ্ছে। বিশেষ করে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, পোর্টিবল ওয়াটার পাম্পসহ আমাদের স্টাফদের প্রশিক্ষণ দেয়ায় জোর দেয়া হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে লঞ্চে থাকা কর্মীদেরই। এজন্য তাদেরকে হতে হবে দক্ষ। বরিশালের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক কামাল উদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, স্টিমারে যারা কাজ করে তাদের সচেতনতার প্রয়োজন আছে, অর্জন করতে হবে। তাছাড়া নীতিমালা মোতাবেক দুই দিনের একটি ছোট প্রশিক্ষণের প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

৮০ শতাংশ যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করে রাতে। এসব নৌযানের মাস্টার-ড্রাইভারের কাছে আতঙ্কের নাম বাল্কহেড। বয়া, বিকন বাতির সমস্যা তো রয়েছেই। এসব সমস্যা নিয়ে বৈঠক হয়েছে একাধিকবার, কাজের কাজ হয়নি। তবে বরিশালের বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাতে যাতে বালুবাহী বল্কহেড বা অন্যান্য বাল্কহেড চলাচল করতে না পরে, সেজন্য পুলিশ প্রশাসনকে এবং আমরা নিজেরাও সচেতন থাকবো।

দেশের যাত্রীবাহী নৌবহরে ছোট-বড় মিলিয়ে লঞ্চের সংখ্যা ৯০০ এর কাছাকাছি। তৈরি হচ্ছে আরও অর্ধশত।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply