ভোজ্যতেল নিয়ে ফের কারসাজি হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত দাম মানছে না অনেক বিক্রেতা। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম আবার বাড়বে, এমন আলোচনা চারপাশে। অথচ ঈদ পর্যন্ত মজুদ আছে এমন তথ্য আগেই দিয়েছিলেন উৎপাদকরা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদামতো বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অল্প তেল কিনে বাড়ি ফিরছেন অনেক ক্রেতা।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে ১০ লাখ ২২ হাজার টন তেল আমদানি করেছে উৎপাদক কোম্পানি। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। ঈদের আগে সংকট হবে না, এসেছিল এমন আশ্বাসও।
আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও পাম ওয়েলের দাম বাড়লেও, বাংলাদেশে প্রভাব পড়েছে কয়েক গুণ বেশি। ফলে কঠোর হয়েছে সরকার, প্রত্যাহার করেছে শুল্কও। কিন্তু কারসাজি থামেনি। কয়েক দিন ধরে কারওয়ানবাজারে ৫ লিটারের বোতলের সরবরাহ বেশ কম। দোকানে শুধু সানফ্লাওয়ার, রাইস ব্র্যান আর সরিষা তেলের ছড়াছড়ি। খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে লিটারে ৫ টাকা বেশি দরে। এর সঠিক কারণ জানেন না ব্যবসায়ীরাও।
এদিকে, ৩-৪ দিন ধর্ণা দিয়েও চাহিদামত তেল পাচ্ছেন না নিতাইগঞ্জের ডিলাররা। বলছেন, তেলের সরবরাহ কমার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। সরকারের শুল্ক মওকুফের সুফল আদৌ মিলছে কিনা প্রশ্ন আছে অনেকের। ভোজ্যতেলে সরকারের শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে ৩০ জুন পর্যন্ত।
এসজেড/
Leave a reply