কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস? এর ফলে শরীরে কি হচ্ছে জেনে নিন

|

ছবি: সংগৃহীত

বালিশ বিলাসিতা কম বেশি সবারই আছে। কেউ কেউ বালিশ ছাড়া মোটেও ঘুমাতে পারেন না। আবার কেউ মাথার নীচে বালিশ বটেই, কোলবালিশ আর পাশবালিশের নরম ছাড়া ঘুমোতে পারেন না। নিজের বাড়ির বদলে অন্য কোথাও ঘুমাতে গেলে যদি কোলবালিশ বা পাশবালিশ না পান, তাহলে ঘুমই আসে না তাদের।

এই অভ্যাস সহজে ছাড়া যায় না। কিন্তু বছরের পর বছর এই অভ্যাসের ফলে কী হয় সেটা কি জানা আছে? মজার কথা, এতে কোনো ক্ষতি হয় না বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বরং তাদের মতে আদতে যেটা হয় তা হলো উল্টোটা। অর্থাৎ এর ফলে লাভই হয় বেশি। কিন্তু কী লাভ হয় সেটাও তো জানা জরুরি।

চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, দু’পায়ের মাঝে কোলবালিশ নিয়ে ঘুমালে মেরুদণ্ডের লাভ হয়। এতে মেরুদণ্ডের বিভিন্ন ব্যথা কমতে পারে। কারণ এতে মেরুদণ্ডের আকার এক দম ঠিকঠাক থাকে।

শুধু তাই নয়, কোল বালিশ নিয়ে ঘুমালে সায়াটিক নার্ভের ব্যথা কমে। যারা ক্রনিক পিঠের ব্যথায় ভোগেন, তারা কোল বালিশ নিয়ে ঘুমালে উপকার পেতে পারেন। কারণ এই অভ্যাসের কারণে পুরানো ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন অল্প সময়ের মধ্যেই।

অনেক সময়ে বিশেষজ্ঞরা অন্তঃসত্ত্বাদের কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে সেই কোলবালিশগুলি বিশেষ আকৃতির হয়। এর ফলে ভ্রূণও সঠিক অবস্থানে নিরাপদে থাকে ঘুমের মধ্যে।

আপনি কি চিৎ হয়ে ঘুমোতে পছন্দ করেন? তাহলে মেরুদণ্ডের নীচে একটি পাতলা কোলবালিশ রাখতে পারেন। এতে পিঠের ব্যথাও কমবে আবার মেরুদণ্ডও স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে। এমনটাই পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।

শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখে
দুই পায়ের মাঝে কোলবালিশ দেয়ার ফলে দুটি পা রান ও হাঁটুর দিক থেকে মিলে যায় না। এ কারণে শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে, এমনটাই দাবি করছেন গবেষকরা। এক্ষেত্রে তাদের ব্যাখ্যা হলো, যারা কোলবালিশ ব্যবহার করেন না, তাদের দুই হাঁটু একত্রে মিলে থাকে। এতে করে মাজার উচ্চতা থেকে পায়ের দিকের উচ্চতা কমে যায় এবং রক্ত চলাচলে বাধা পায়।

হাঁটুর সমস্যা থেকে মুক্তি
কোলবালিশ দুই পায়ের মাঝে থাকার ফলে মেরুদণ্ডের সঙ্গে হাঁটুর হাড়ের চাপ স্বাভাবিক থাকে। ফলে এ অভ্যাস সহজেই হাঁটুর ব্যথার সঙ্গে আপনার দেখা করাবে না।

নাক ডাকা সমস্যার সমাধান
যারা কোলবালিশ নিয়ে ঘুমান তারা ডান কাত অথবা বাম কাতে ঘুমান। আর এর ফলে নাক ডাকা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। যাদের নাক ডাকার অভ্যাস আছে, তারা চিৎ হয়ে শোয়ার ফলে নাক ডাকেন। তাই এমন ব্যক্তিদের কোলবালিশ নেয়া উচিত।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply