কেবল ২০০ সিলিন্ডার দেয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষ রয়েছে ৫শ’র বেশি। গ্যাস বা কেরোসিন ছাড়া কিছুই করতে পারবো না আমরা। শেষে কী অপেক্ষা করছে? খাবারের অভাবে মৃত্যু ঘটবে আমাদের, আর এ নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই আমার।
কথাগুলো বলেছেন তেলের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রীলঙ্কান গাড়িচালক মোহাম্মাদ শাজলি। তৃতীয় দিনের মতো গাড়ির তেল নেয়ার অপেক্ষায় থাকার সময় তিনি রয়টার্সের কাছে জানাচ্ছিলেন ৫ সদস্যের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে শঙ্কার কথা।
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক দুর্দশার কবলে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি সর্তকতাবাণী জানিয়ে বলেছেন, খাদ্যের অভাবের সামনে পড়তে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। সেই সাথে, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সরকার আগামী রোপণ মৌসুমের জন্য পর্যাপ্ত সার কিনবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে সকল রাসায়নিক সারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। এর ফলে, ফসল উৎপাদনে ভয়াবহ দুর্যোগের সম্মুখীন হয় দেশটি। এরপর, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও খাদ্যশস্য আমদানি করা সম্ভব হয়নি শ্রীলঙ্কার পক্ষে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে টুইটারে বলেন, এই (মে-আগস্ট) মৌসুমে সার পাওয়ার সময় না থাকলেও আগামী (সেপ্টেম্বর-মার্চ) মৌসুমের জন্য পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আমি সবাইকে আন্ততিকভাবে অনুরোধ করবো এই দুর্দশার স্বরূপটা অনুধাবনের জন্য।
বৈদেশিক মুদ্রা, জ্বালানি ও ওষুধের সংকটে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিও হয়েছে মন্থর। কলম্বোর পেত্তাহ মার্কেটের সবজি বিক্রেতা ৬০ বছর বয়সী এপিডি সুমানাভাথি বলেন, জীবন কতোটা কষ্টের তা নিয়ে আলাপের কিছু দেখি না। সামনের দুই মাসে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা আমি বুঝতে পারছি না। তবে সব এভাবেই চললে এখানে হয়তো আর দেখা যাবে না আমাদের।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
/এম ই
Leave a reply