বেশ কিছুদিন ধরেই সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছা পোষণ করে আসছিল ইউরোপের দুই দেশ সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। আনুষ্ঠানিক আবেদনও করেছে তারা। তবে দেশ দুইটি সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতা করে অভিযোগ এনে তাদের ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তুরস্ক। এবার তুরস্কের সেই উদ্বেগের সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, তুরস্ক আমাদের দীর্ঘস্থায়ী ও মূল্যবান ন্যাটো মিত্র। আমরা তুরস্কের দীর্ঘদিনের উদ্বেগ বুঝতে পারছি। সন্ত্রাসবাদের অভিশাপ নির্মূল করার প্রচেষ্টায় একসাথে কাজ চালিয়ে যাব আমরা।
তুরস্ক ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের বিরুদ্ধে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এবং গুলেন আন্দোলনকে উল্লেখ করে ‘সন্ত্রাসবাদীদের’ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে। ২০১৬ সালে এরদোগান সরকারকে উৎখাতচেষ্টায় ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পেছেন এই আন্দোলনগুলোর হাত আছে বলে মনে করে তুরস্ক।
আরও পড়ুন: শেষমেষ রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করলো ইস্পাত কারখানার ‘সেই’ ৫০০ ইউক্রেনীয় সেনা
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে সর্বাত্মক সমর্থন যোগাবে যুক্তরাষ্ট্র। আরও বলেন, ইউরোপের জন্য এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে যাচ্ছে। কারণ দীর্ঘদিন যাবত নিরপেক্ষতা বজায় রাখা দুটি নর্ডিক দেশ যোগ দিতে যাচ্ছে প্রভাবশালী সামরিক জোটে। নিঃসন্দেহে তাতে বাড়বে ন্যাটোর সক্ষমতা।
প্রসঙ্গত, ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে হলে, ন্যাটোর ৩০ সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন হয় আবেদনকারী রাষ্ট্রকে।
জেডআই/
Leave a reply