রাশিয়ার ওপর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলে শস্য রফতানির সুযোগ পাবে ইউক্রেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও জার্মান চ্যান্সেলরের সাথে ফোনালাপে এমন শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শনিবার (২৮ মে) পুতিনের সাথে দীর্ঘ ৮০ মিনিটের ফোনালাপ হয় ইমানুয়েল ম্যাকরন ও ওলাফ শোলজের। সংকট সমাধানে পুতিনকে সরাসরি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির সাথে আলোচনার আহ্বান জানান তারা। জোর দেন কিয়েভে অস্ত্রবিরতি ও রুশ সেনা প্রত্যাহারের ওপর। অ্যাজভস্তাল কারখানার আড়াই হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে মুক্তির আহ্বানও জানান। জবাবে ইউক্রেনে ভারি অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে পশ্চিমাদের সতর্ক করেন পুতিন। তবে সরাসরি আলোচনার সম্ভাব্যতা নিয়ে কিছু নিশ্চিত করেনি প্যারিস-বার্লিন।
এদিকে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নতুন এই সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। শুরু থেকেই ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করার বিরোধিতা করে আসছিল বাইডেন প্রশাসন। এসব ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার অভ্যন্তরে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য ব্যবহার করতে পারে এমন শঙ্কা ছিল হোয়াইট হাউজের। তবে এবার সেই অবস্থান থেকে সরে আসছে ওয়াশিংটন। যদিও তারা কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করবে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছুই বলেনি।
একদিন আগেই দেয়া ভাষণে রাশিয়ার সাথে খেলা বন্ধ করে যুদ্ধ বন্ধে পশ্চিমা মিত্রদের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভোলদেমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, যুদ্ধ বন্ধে পশ্চিমাদের উচিত রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
/এডব্লিউ
Leave a reply