ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই, কোনো অগ্রগতি নেই কূটনৈতিক আলোচনার। বরং ইউক্রেনে একের পর এক পশ্চিমা অস্ত্রের চালান ইঙ্গিত দিচ্ছে যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার। কিয়েভকে যতই দূরপাল্লার অস্ত্র দেয়া হবে ততোই রুশ সীমানা থেকে হটিয়ে দেয়া হবে ইউক্রেনীয় সেনাদের, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তবে নতুন সমরাস্ত্র পেয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেন যুদ্ধের কেন্দ্র এখন সেভেরোদোনেৎস্ক। দখল আর পাল্টা পুনরুদ্ধার। এর মধ্য দিয়েই ঝুলছে শহরটির ভাগ্য।
সেখানে কিছু জায়গায় পিছু হটলেও কাছাকাছি শহর স্লোভিয়ানস্কে এগিয়েছে রুশ সেনারা।
হামলা জোরদার করেছে পূর্ব ও দক্ষিণের অন্য অঞ্চলগুলোতেও। খারকিভেও নতুন করে হামলা চালিয়েছে পুতিন বাহিনী। ধ্বংস করেছে শিল্প এলাকার বেশ কিছু ভবন। সেখানে সাঁজোয়া যান সংস্কারে কাজ করছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী। ১৮টি ট্যাংক ধ্বংস ও আরেকটি সামরিক জেট ভূপাতিত করার দাবিও করেছে মস্কো।
তবে দোনবাসে সাতটি বড় হামলা প্রতিহতের দাবি করেছে কিয়েভ। পূর্বাঞ্চলে সফর শেষে নিজেকে আরও উদ্দীপ্ত বলে দাবি করেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। বলেন, জয়ের সব ধরনের সম্ভাবনা আছে ইউক্রেনের। সেনাদের কাছ থেকে গভীর আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর পেয়েছি শক্তিমত্তা। আমাদের জয় হবেই।
পশ্চিমারা কিয়েভে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করলে রুশ সীমান্তে কড়া জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন এরই মধ্যে জানিয়েছেন নতুন অস্ত্র সরবরাহের পরিণতি কী হবে। আরেকটু যুক্ত করতে চাই, দূরপাল্লার অস্ত্রের সীমা যতটুকু দূরত্বের হবে, রুশ সীমান্ত থেকে ততটুকুই দূরে ঠেলে পাঠানো হবে ‘নাৎসিদের’।
সবমিলিয়ে কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোঁজার চেয়ে দুই পক্ষের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বই চোখে পড়ছে। তাই সহসাই যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
/এডব্লিউ
Leave a reply