নির্বাচনে সেনাবাহিনী কোনো কাজে আসে না: নুরুল হুদা

|

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ফাইল ছবি

নির্বাচনে সেনাবাহিনী কোনো কাজে আসে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের পেছনেই নির্বাচনের ৭০ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়। সেক্ষেত্রে, সেনাবাহিনী মোতায়েন না করলে একটি বড় খরচ বেঁচে যাবে।

রোববার (১২ জুন) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাবেক নির্বাচন কমিশন ও কর্মকর্তাদের সাথে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সংলাপে এ কথা বলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। এ সময় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পক্ষে-বিপক্ষে মত দিয়েছেন অনেকেই। এছাড়া রিটার্নিং অফিসার এবং নির্বাচনের বর্তমান কাঠামো নিয়েও কথা হয়েছে।

কে এম নুরুল হুদা বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে যে পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন হয়, এটা বিশ্বে বিরল। মনে হয় এ রকম কোথাও পৃথিবীতে নাই। শত শত হাজার হাজার লোক বন্দুক হাতে যুদ্ধাবস্থার মতো দাঁড়িয়ে থাকে। আমি দায়িত্বে থাকতেও বলেছি, এখনও বলছি যে এসবের প্রয়োজন নাই। সেনাবাহিনী মোতায়েন একেবারেই দরকার নেই। কারণ, বিগত নির্বাচনে তাদের অ্যাকটিভিটিজ আমরা দেখেছি। নির্বাচন পরিচালনার কোনো কাজে তারা আসে বলে আমার মনে হয় না। সুতরাং আমাদের এই এলিট ফোর্স সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের সময় মাঠে নামানোর কোনো দরকার নেই।

নির্বাচনে বরাদ্দ অর্থের ৭০ শতাংশই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ব্যয় হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন স্কুলে ছিলাম তখন দেখতাম, একজন চৌকিদার বাঁশি মুখে আর হাতে লাঠি নিয়ে একটা কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করতেন। এখন আর্মি, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ নামে। একটা কেন্দ্রে যে পরিমাণ সশস্ত্র সদস্য থাকে তা একটা থানার সমান। এখন তো আমাদের সেই পরিস্থিতি নেই যে, বাক্স আছে লোকজন ব্যালটে ভোট দেবে। এখন আছে ইভিএম। এটা এমন একটা বিষয়, যেখানে বাক্স ছিনতাই করা যায় না। একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারে না। নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে ইভিএম চালু করা যায় না। এর যথেষ্ট সুবিধা আছে।

এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগে যেমন সহজেই নির্বাচন আয়োজন করা যেতো, সে তুলনায় এখন ঝুঁকি রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন রয়েছে বলে মত দেন তিনি।

আরও পড়ুন: নির্বাচনে ইভিএম’র পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে ইসির সংলাপ

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply