দেশে বাড়ছে বজ্রপাতের ভয়াবহতা, কাজেই লাগছে না কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত রাডার

|

ছবি: সংগৃহীত।

বজ্রপাত এখন রীতিমতো আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে গত শুক্রবার (১৭ জুন) এক দিনেই মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। গত ১০ বছরের পরিসংখ্যান বলছে, আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে বজ্রপাতের কারণে হতাহতের ঘটনা। বছরের মে মাসে মৃত্যুর ঘটছে প্রায় ৩৮ থেকে ৪০ ভাগ মানুষের।

২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ ঘোষণার পর তালগাছ লাগানো থেকে অত্যাধুনিক রাডারসহ নানান উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তারপরও কেনো বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা? কেনো তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে বজ্রপাত?

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের দেয়া তথ্য বলছে, ২০১০ সালে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১২০ জন। ২০২১ সালে তা ৩২৭ জনে বৃদ্ধি পায়। বাকৃবির এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. এম এ ফারুখ বলছেন, বঙ্গোপসাগর হয়ে আসা গরম ও আর্দ্র বাতাসের সাথে মিশছে উত্তর থেকে আসা ঠান্ডা বাতাস। সাথে যুক্ত হচ্ছে তাপমাত্রা। ফলে তৈরি হচ্ছে বজ্র মেঘ। আর তাপমাত্রা যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে বজ্রপাত।

বজ্রপাত ঠেকাতে চার বছর আগে জেলা-উপজেলায় লাগানো হয় তালগাছ। যার অস্তিত্ব নিয়েই দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। এই দুর্যোগ ঠেকাতে ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হয়েছে রাডার। ২০১৭ সালে দেশের আটটি স্থানে লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর স্থাপন করা হয়। বলা হয়েছিল, বজ্রপাতের ১৫ মিনিট আগেই ওই এলাকার মানুষকে সেই তথ্য জানিয়ে দেয়া যাবে। তবে তা থেকে এখন আর কোনো পূর্বাভাসই পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে বজ্রপাত থেকে জানমাল রক্ষায় থেমে নেই উদ্যোগ। জেলার ত্রান ও পুনর্বাসন দফতরে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপনের জন্য পৌঁছেছে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply