মাছ উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয়, তবুও দেশে জেলেদের ভাগ্যের উন্নতি নেই

|

মাছ ধরার ট্রলারে মৎস্যজীবীরা।

রিমন রহমান:

মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ, ইলিশ উৎপাদনে প্রথম। মৎস্য আহরণ এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনায় দেশে মাছের উৎপাদন বাড়ছে। তবে যারা মাছ ধরেন, সেই জেলে সম্প্রদায়ের ভাগ্যের উন্নতি নেই। একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে তাদের জীবনমান। মাছ ধরে জীবন নির্বাহ করলেও দাদন নিয়ে মহাজনদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে বিপুল সংখ্যক জেলে। এক্ষেত্রে অর্থের যোগান দেয়া গেলে, মাছের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বছরে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। সেই সময়ে খাদ্য সহায়তা দেয়া হলেও তা থেকে বঞ্চিত হয় অনেক জেলে। ফলে জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়ে। জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে যায় জেলেরা। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের দেয়া হয় না নিরাপত্তা জ্যাকেট। দুর্ঘটনায় এগিয়েও আসে না তেমন কেউ।

বলা হচ্ছে, সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে দাদন থেকে বাঁচবে জেলেরা। কিন্তু এক্ষেত্রে এগিয়ে আসে না কোনো ব্যাংক। এনজিওগুলোর কর্মকাণ্ডও সীমিত। এ নিয়ে বরগুনার মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, মাছ কম হচ্ছে, ফলে দাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দাদন থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে যদি সরকার সহজ শর্তে লোন দেয়।

এদিকে, সমবায়ের মাধ্যমে একত্রিত হলে জেলেদের বিকল্প অর্থায়নের উপায় নিশ্চিত করা সম্ভব উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী স ম রেজাউল করিম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যারা মাছ আহরণ করে তাদের লোন দেয়ার মতো কোনো পদ্ধতি এখনও নেই। তবে যদি তারা সম্মিলিতভাবে আবেদন করে, একটি জাহাজ কিনতে চায়, সেক্ষেত্রে যে সহযোগিতা প্রয়োজন সেগুলো আমরা করবো।

জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ চলমান রয়েছে। ন্যায্য পাওয়া নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও বাড়ানো হয়েছে তদারকি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply