শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে মানহীন সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কেনাকাটায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে সিন্ডিকেট। প্রকল্পে প্রতিটি পণ্যের মান ও গ্রেড স্পষ্ট করা থাকলেও নিম্ন গ্রেডের সামগ্রী ঢুকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রথম চালানের বেশ কিছু বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আটকে দেয়ার পরও নানা কৌশলে নিম্নমানের সামগ্রী ঢোকাতে মরিয়া সিন্ডিকেট। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক এই প্রকল্পের মান নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
প্রকল্পটির অবকাঠামো তৈরির কাজ প্রায় ৪০ শতাংশ শেষ। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে জোরা সোরে চলছে অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার প্রস্ততি। তবে বেপরোয়া সিন্ডিকেটের নজর এখন লিফট, বৈদ্যুতিক কেবল, সুইচ, ভাল্বসহ জেনারেটর, ট্রান্সফরমার, স্কেলেটর ও স্ক্যানিং মেশিন কেনাকাটার দিকে। প্রতিটি পণ্যের গ্রেড ও মান ইউরোপীয় স্টান্ডার্ড হওয়ার শর্ত থাকলেও পছন্দের দেশ ও কোম্পানির কাছ থেকে পণ্য কিনতে মরিয়া এসব সিন্ডিকেট।
এনিয়ে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান সিন্ডিকেটের তৎপরতা স্বীকার করে বলেন, আমি অস্বীকার করবো না, আমাদের ওপর বিষয়টি চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু আমরা টেন্ডারের নির্ধারিত বিষয়বস্তুর দিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করে যাচ্ছে। এটিই সবচেয়ে বগ চ্যালেঞ্জ।
এর আগে শুরুতেই বেশ কিছু নিম্ন মানের পণ্য নজরে এলে কঠোর অবস্থান নেয় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। বেশির ভাগ পণ্য নিম্নমানের প্রমাণ হলে তা ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রকল্পের বৈদ্যুতিক ক্যাবল এখন সিন্ডকেটের টার্গেট। দেশে আন্তর্জাতিক মানের ক্যাবল কোম্পানি থাকলেও বেশি দামে বিদেশ থেকে নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সামগ্রী আমদানি করা হচ্ছে।
এখনই সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে, তৃতীয় টার্মিনালের আন্তর্জাতিক মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলে মন্তব্য সিভিল এভিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর (অব.) ইকবাল হোসেন। বলেন, সিন্ডিকেটের এই কার্যক্রম আটকাতে হবে। কিস্তু কিছু প্রতিবন্ধকতার জন্য এটি কর্তৃপক্ষ আটকাতে পারছে না বলে মনে করেন তিনি।
জানা গেছে, কেনাকাটার জন্য প্রকল্পের মূল ঠিকাদার আরও দুটি প্রতিষ্ঠানকে সাব কনট্র্রাক্ট দিয়েছে। যারা একাধিক সাব কনট্রাক্ট নিয়োগ দেয়ায় প্রতিনিধিত্বের শৃঙ্খলা বজায় থাকছে না।
এসজেড/
Leave a reply