রাবির ভর্তি পরীক্ষা কাল, ফের আলোচনায় পোষ্য কোটা

|

ছবি: সংগৃহীত।

রাজশাহী ব্যুরো:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় গত কয়েক বছর ধরেই বিশেষ কোটা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে পোষ্য কোটায় অকৃতকার্য হয়েও ভর্তির সুযোগ পাওয়া, পাশ নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করা নিয়ে বিগত সময় আন্দোলনও হয়েছে বেশ কয়েকবার, তবে তাতে বন্ধ হয়নি প্রক্রিয়া। এদিকে, সোমবার (২৫ জুলাই) থেকে শুরু হতে যাওয়া এ বছরের পরীক্ষায় বিশেষ কোটায় ভর্তি হবে ৬২১ জন, যা মোট আসনের ১৩ ভাগ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পান ৪৩ শিক্ষার্থী। একই বছর কোটার ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কারণ পরীক্ষায় ফেল করা ৭১ পরীক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলেন অভিভাবক ও জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা। সেসময় এই ভর্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এবারের স্নাতক শ্রেণির পরীক্ষায় ভর্তির সুযোগ পাবেন ৪ হাজার ৬৪১ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিশেষ কোটায় সুযোগ মিলছে ৬২১ জনের।

কোটা পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক আছে নাগরিক সমাজের মধ্যেও। তবে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা প্রক্রিয়াটি নিয়ে আপাতত বিকল্প কিছু ভাবার সুযোগ নেই বলে মনে করছে প্রশাসন। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, এখনও এ নিয়ে কোনো বিকল্প ভাবা হয়নি। আগামী দিনে পরীক্ষার জন্য যে কমিটি বসবে তাখন এটি নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।

এদিকে, এই প্রক্রিয়া বন্ধের জোর দাবি জানিয়ে জেলার সমাজকর্মী সুব্রত কুমার পাল বলেন, অকৃতকার্য হয়েও শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে এবং পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছে। এই প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে, আমাদের মেধাহীন সমাজ আরও বাড়বে।

এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে অন্তত দেড় লাখ ভর্তিচ্ছু। প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তিযুদ্ধে শামিল ৩৮ জন।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply