লোডশেডিংয়ের কারণে হবিগঞ্জের চা বাগানগুলোতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ

|

হবিগঞ্জের চায়ের কারখানা।

লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে হবিগঞ্জের চা বাগানগুলোতে। বারবার বিদ্যুতের যাওয়া-আসায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি চায়ের গুণগত মানও নষ্ট হচ্ছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কায় আছেন বাগান সংশ্লিষ্টরা। লোডশেডিং কমিয়ে টানা বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি তাদের।

জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার লোডশেডিং করলেও বিকল্প জ্বালানিতে চলছে কারখানা। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। লোডশেডিংয়ে মূল্যবান যন্ত্রাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে মাধবপুর সুরমা চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. আবুল কাশেম বলেন, এক ঘণ্টা লোডশেডিং মানে আমার ২ ঘণ্টা লস। এভাবে চলতে থাকলে চায়ের গুণগত মান ধরে রাখা কঠিন।

হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানের চা প্রক্রিয়াজাত করা হয় ১১টি কারখানায়। বছরে প্রায় ১ কোটি কেজি চা উৎপাদিত হয় জেলার এই চা বাগানগুলো থেকে। এসব কারখানার সবকয়টিতে জেনারেটর সুবিধাও নেই। ফলে বাধ্য হয়েই সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করতে হয় বিদ্যুতের উপর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একবারে লোডশেডিং দিয়ে বাকি সময় টানা বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমানো সম্ভব। মো. আবুল কাশেমের দাবি, চাসহ রফতানিমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে লোডশেডিংয়ের একটি নির্দিষ্ট সময় বেধে দিলে উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে না।

চা বাগানে লোডশেডিংয়ের বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রায়ত্ত ন্যাশনাল টি কোম্পানির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন। তিনি বলেন, চা বাগানগুলোর ক্ষেত্রে লোডশেডিংয়ের বিষয়টি একটু বিবেচনা করা উচিত। হয় একবারেই লোডশেডিং বন্ধ করা হোক, না হলে কিছুটা ছাড় দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

তবে আবাসিক গ্রাহকদের সাথে একই ফিডারে থাকায় চা বাগানগুলোকে বিশেষ সুবিধা দিতে পারছে না পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। তাই চা বাগানকে আলাদা ফিডারে নেয়ার চেষ্টা চলছে জানিয়ে হবিগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক মামুন মোল্লা বলেন, ৫-৭ দিনের মধ্যে চা বাগানগুলোকে এলাকাভিত্তিকভাবে আলাদা করে নিয়ে আসতে পারবো।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply