খোলাবাজারে দাম বেশি, তাই সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করেনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেকে

|

চলতি বোরো মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে, ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য অর্জন হয়নি। মিলার ও কৃষকরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলাবাজারে দাম বেশি পেয়েছেন তারা। তাই অনেকে সরকারি গুদামে ধান-চাল সরবরাহ করেনি। তবে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানিয়েছেন, চুক্তি ভঙ্গকারী মিলের তালিকা তৈরি হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছে তারা।

বাজারে মোটা সিদ্ধ চাল প্রতি কেজি ৪২/৪৩ টাকা এবং আতপ চাল ৪০/৪১ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সিদ্ধ চালের জন্যে ৪০ টাকা এবং আতপ চালের জন্যে ৩৯ টাকা সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করে দেয় সরকার। মিলারদের দাবি, এবার লোকসান দিয়ে গুদামে চাল সরবরাহ করতে হয়েছে। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ধান ক্রয়েও শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। বাজারে মোটা ধান প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০/৩১ টাকা। এতে কৃষকরা খোলাবাজারে ধান বিক্রিতে বেশি আগ্রহী।

খাদ্য অধিদফতর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে ১৪ হাজার ৬৩০ টন ধান, ৪৩ হাজার ২৮৫ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের জন্যে বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ধান সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ৯৭৮ টন, সিদ্ধ চাল ৩৮ হাজার ৩১০ টন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাকারিয়া মুস্তফা জানান, চুক্তিভঙ্গকারী মিলারদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। অচিরেই তাদের বিরুেদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সেদ্ধ চালের জন্যে ১৭৬টি এবং আতপ চালের জন্যে ৯২টি চালকল জেলা খাদ্য অফিসের সাথে চুক্তি করে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply