শরীয়তপুরে পদ্মার পানি বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভাঙনের তীব্রতা

|

শরীয়তপুরে বাড়তে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি। এতে ভাঙন দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকায়। গত ২৪ ঘণ্টায় শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর পানি ২৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নে ও পালেরচর উনিয়নের কাথুরিয়ায় পদ্মাপাড়ের কয়েকটি গ্রামে। জিও ব্যাগ ফেলে দ্রুত ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পদ্মার পানি কমে গিয়েছিল অনেকাংশে। পাহাড়ি ঢলের কারণে গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি। ফলে দেখা দিয়েছে ভাঙন। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের খলিফা কান্দি গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার ও পালেরচর উনিয়নের কাথুরিয়া গ্রামের দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে পদ্মার ভাঙন। দিন অথবা রাতে হঠাৎ করেই থেমে থেমে ভাঙছে পদ্মার পাড়।

ইতোমধ্যে পালেরচর উনিয়নের কাথুরিয়া গ্রামের নদীর পাড়ে থাকা অনেকেই তাদের বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে আরও শতাধিক পরিবার।

অপরদিকে বড়কান্দি ইউনিয়নের খলিফাকান্দি গ্রামে পদ্মা তীরবর্তী কয়েক একর ফসলি জমি চলে গেছে নদীগর্ভে। ঝুঁকিতে রয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, একটি বাজারসহ কয়েকটি গ্রাম। আতঙ্কে দিন কাটছে মানুষের। স্কুল, বাজার ও বসতভিটা নদী ভাঙনের কারণে বেশ কয়েকবার ভেঙে নতুন করে আবার তৈরি করেছে এ সকল প্রতিষ্ঠান। নিজেদের সব হারিয়ে অন্যের ভিটে ভাড়া নিয়ে থাকছে অনেক পরিবার। ইতোমধ্যে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৫০ টি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। ভাঙন কবলিত একজন বললেন, আমাদের যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। দ্রুত বেড়িবাঁধ করে দিলে আমরা থাকতে পারবো।

এবার যেভাবে ভাঙতে শুরু করেছে দ্রুত এর ব্যবস্থা না নিলে আবারও স্থানান্তর হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে এই ইউনিয়নের অন্তত তিনটি গ্রামের মানুষের। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের। জাজিরার পালেরচর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. লিটন জানালেন, জাজিরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০টি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। তাদের এই ত্রাণ বিতরণ রাখার কথাও জানালেন তিনি।

আর শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব জানালেন, আগের জিও টিউবগুলো যেখানে সরে গিয়েছে সেখানে ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি নতুন নতুন এলাকাগুলোও ভাঙতে শুরু করেছে। কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের কথা হয়েছে। সে সব এলাকায়ও কাজ করা হবে।

পদ্মার পানি গত সপ্তাহের মত বাড়তে থাকলে ভাঙনকবলিত হতে পারে আরও নতুন নতুন এলাকা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply