আহমাদিয়া ফাইনান্সের বিরুদ্ধে ৯৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, গ্রাহকদের রাতভর বিক্ষোভ

|

১১ শ’ গ্রাহকের ৯৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আহমাদিয়া ফাইনান্স অ্যান্ড কমার্স লিমিটেডের মিরপুর শাখায় অনশন করছে ভুক্তভোগীরা। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজারকে অবরুদ্ধ করে রাতভর বিক্ষোভ করেছে তারা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দুই বছর ধরে নানা অজুহাতে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিচ্ছেন না প্রতিষ্ঠানটির মালিক মনির আহমেদ। এ ব্যাপারে মামলা হলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক সুলতানা রাজিয়া কান্নারত অবস্থায় বললেন, সংসার ভেঙে গেছে। আমরা কোনোভাবে বাঁচতে পারছি না।

এ যেন আহমাদিয়া ফাইনান্স অ্যান্ড কমার্স লিমিটেডে টাকা জমা দিয়ে যিনি অকূল পাথারে পড়েছেন সুলতানা রাজিয়া। জানালেন, জিডি করেছেন তিনি। এরপর, টাকা দেবে বলে বলে ঘুরাচ্ছেন তাকে।
মো. আব্দুল জলিল নামের এক মেকানিকও সুলতানা রাজিয়ার মতো ভুক্তভোগী। সময়মতো টাকা না পাওয়ায় মেয়ে মারা গেছে বলে অভিযোগ করেন আব্দুল জলিল। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে জেনারেল ম্যানেজারের দুর্ব্যবহারের শিকার হন। তবে সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম।

সাইফুল অবরুদ্ধ থাকলেও লাপাত্তা প্রতিষ্ঠানের মালিক মনির আহমেদ। তার ব্যাপারে কিছু জানে না পুলিশও।

সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ৩২ কোটি টাকা ফ্ল্যাটে অ্যাডজাস্টমেন্ট করে দিছি। এ সম্পদগুলো তাদের। বাকিগুলোও অ্যাডজাস্টমেন্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। আর ছোটগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে ক্লিয়ার করে এটা ক্লোজড করে দেব বলতেছি।

কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, মামলা করতে বলেছি। কিন্তু তাদের একটাই কথা, মামলা করলে টাকা পাবো না। এমডিকে এনে দেন। আমরা উনার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। ফোন ধরছে না।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রায় ১৫ বছর ধরে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক বিভিন্ন উপায়ে সঞ্চয়পত্র ও এফডিআইআরের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতো আহমাদিয়া ফাইনান্স অ্যান্ড কমার্স। শুরুতে লভ্যাংশ ও মুনাফার কিছু টাকা গ্রাহকদের দেয়া হলেও ধীরে ধীরে সুর পাল্টায় প্রতিষ্ঠানের কর্তারা। এগারোশো গ্রাহকের ৯৮ কোটি টাকা আটকে রেখে প্রতিষ্ঠানের মালিক মনির আহমেদ চালু করেন ইউরো স্টার নামের নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

বারবার টাকা ফেরত চেয়ে না পেলে গতকাল সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে আহমাদিয়া ফাইনান্স অ্যান্ড কমার্সের অফিসে অনশন শুরু করেছে ভুক্তভোগীরা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply