৯৬ বছর বয়সে মারা গেছে ব্রিটেনের সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে শাসকের ভূমিকা পালনকারী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার মৃত্যুর পর বহু আলোচিত কহিনূর বসানো মুকুটটি এখন উঠবে চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলার মাথায়। তবে এই বহুমূল্যবান মুকুট ছাড়াও রানির সংগ্রহে ছিল এমন সব গহনা যা শতশত বছরের ইতিহাস বহন করে আসছে। অর্থ দিয়েও যেগুলোর মূল্য নির্ধারণ সম্ভব না। এসব গহনার বেশকিছু রানি পেয়েছিলেন উত্তরাধিকার সূত্রে।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সংগ্রহে ছিল বিশেষ একটি টায়রা। ১৯২১ সালে রানি মেরি গ্র্যান্ড ডাচেস ভ্লাদিমিরের কাছ থেকে হিরা এবং বহুমূল্য মুক্তা খচিত এই টায়রাটি কিনেছিলেন। রানি মেরি সম্পর্কে রানির দ্বিতীয় এলিজাবেথের দাদি হন। রানি মেরির মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে এই টায়রাটি পান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রানির গহনার সংগ্রহে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি টায়রা। ১৯৭৩ সালে বার্মা থেকে এমনই একটি টায়রা তৈরি করিয়েছিলেন রানি। ৯৬টি বার্মা রুবি দিয়ে তৈরি হয়েছে এই বিশেষ টায়রা।
কহিনূর খচিত মুকুট ছাড়াও রানির ব্যক্তিগত গহনার সংগ্রহে ছিল বহুমূল্যবান আরো একটি মুকুট। বিশেষ এই মুকুটটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। ২ হাজার ৮৬৮টি হিরা এবং রুপা, ১৭টি নীলকান্তমণি, ১১টি পান্না এবং ২৬৯টি মুক্তা দিয়ে এই মুকুট তৈরি হয়েছে।
রানির সংগ্রহে যেসব অমূল্য গহনা আছে তার মধ্যে অ্যামিথিস্ট সেট অন্যতম। দ্য কেন্ট অ্যামেথিস্ট নামে পরিচিত বিশেষ এই গহনাটি মূলত রানি ভিক্টোরিয়ার মা ডাচেস অব কেন্টের। উত্তরাধিকার সূত্রে এটি হাতে আসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। ১৯৮৫ সালের ২৬ মার্চ এই গহনাটি পরতে দেখা গিয়েছিল রানিকে। এটি মূলত হিরার ব্রোচ, নেকলেস ও কানের দুলের সমন্বয়ে একটি সেট।
সিংহাসনে বসার সময় ব্রিটেনের জনগণের কাছ থেকে উপহার হিসাবে অ্যাকোয়ামেরিন কানের দুল পেয়েছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। কানের দুলটি ব্রোচ হিসাবেও ব্যবহার করা যেত। ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর শেষবার এই গয়নাটি পরেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
রানির গহনার বিশাল সংগ্রহের মধ্যে এগুলো ছিল খুবই সামান্য একটি অংশ। এ ছাড়াও হিরা, মুক্তা, পান্না ও জহরতের বহুমূল্য গহনার অধিকারী ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার মৃত্যুর পর এসব গহনা কে পাবে তা নিয়েই চলছে জল্পনা।
এসজেড/
Leave a reply