ইরাকের কুর্দিস্তানে ইরানের চালানো ড্রোন হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৮ জন। নিহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী ও কয়েকজন শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে। কুর্দিস্তানে ইরানি কুর্দিবিরোধী দলগুলোর ঘাঁটি ছিল বলে দাবি তেহরানের। খবর বিবিসির।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও ড্রোন হামলা চালালে ১৩ ইরানির প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড বলেছে, ইরানে সংঘটিত সাম্প্রতিক দাঙ্গাকে সমর্থন করেছিল এমন বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা চালিয়েছি আমরা। আমরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিকেআই) এবং কুর্দিস্তান ফ্রিডম পার্টি (পিএকে) এর প্রধান ঘাঁটি ও আঞ্চলিক অফিসে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছি। ইরানের বিরুদ্ধে এসব বিশৃঙ্খলাকারীদের পুরোপুরি দমন না করা পর্যন্ত এমন হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
জানা গেছে, জার্গওয়েজ এলাকায় এখন পর্যন্ত ১০ দফা ড্রোন হামলা হয়েছে। এদিকে পিএকে জানিয়েছে, শেরাওয়াতে তাদের সদর দফতরে হামলা হয়েছে। আর পিডিকেআই বলেছে, কোয় সানজাকে অবস্থিত তাদের ঘাঁটি এবং সদর দফতরে হামলা করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার জানিয়েছে, বিরোধী দলগুলোর ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিঃসন্দেহে একটি ভুল পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হিজাববিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইরান। হিজাব না পরার অভিযোগে গ্রেফতারের পর পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনি (২২) নামের এক তরুণীর মৃত্যুর পর থেকেই দেশটিতে হিজাববিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৭৬ জন নিহত হয়েছেন।
/এসএইচ
Leave a reply