ভারতের ‘রাবার গার্ল’, আনায়াসে শরীর বাঁকাতে পারে যেকোনো দিকে

|

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু হয়েও ইয়োগায় অসামান্য দক্ষতা দেখিয়ে তাক লাগাচ্ছেন ভারতের এক কিশোরী। জন্ম থেকে ডাউন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত সে। তবে পরিবারের সহায়তায় জয় করেছে সে প্রতিবন্ধকতা। ইয়োগার দক্ষতার জন্য জিতেছে জাতীয় পর্যায়ের সম্মাননা। পেয়েছে রাবার গার্লের তকমা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

অবলীলায় করে যাচ্ছেন ইয়োগার কঠিন থেকে কঠিনতম আসন। যেন শরীরে হাড় বলতে কিছু নেই। নিজের এই শারীরিক দক্ষতার কারণে রাবার গার্ল হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ভারতের ১৪ বছরের কিশোরী আনভি।

শারীরিক কসরতে তার জুড়ি মেলা ভার। অথচ কে বলবে জন্ম থেকেই মেয়েটিই ডাউন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা জানান, ৭৫ শতাংশ বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতা রয়েছে শিশুটির। কিন্তু আনভির বেড়ে ওঠার সাথে সাথে তার বাবা-মা লক্ষ্য করলেন একদিকে কমতি থাকলেও আরেকদিক দিয়ে আশীর্বাদপুষ্ট সে। অত্যন্ত নমনীয় তার শরীর।

এ বিষয়ে আনভির বাবা বিজয় জানজারুকিয়া বলেন, আনভির জন্মের পর আমরা কিছুটা চিন্তিত ছিলাম। কীভাবে ওকে বড় করবো তা নিয়ে ভয় পেতাম। মনে হতো ঈশ্বর কেন ওকে পৃথিবীতে আনলো। পরবর্তীতে আমরা বুঝতে পারি ওর জীবনের উদ্দেশ্য হল ইয়োগা। আর সেভাবেই আমরা ওকে সাহায্য করেছি।

ছোটবেলায় আনভির শোবার ভঙ্গি দেখেই ওর শরীরের নমনীয়তার বিষয়টি আচ করতে পারেন ওর মা। এরপর থেকেই শুরু হয় ইয়োগা শেখানোর চেষ্টা। ছবি এঁকে কিংবা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বুঝিয়ে চলতে থাকে প্রশিক্ষণ। আর বিষয়গুলো খুব দ্রুত গ্রহণ করতে থাকে আনভি।

এরই মধ্যে দুই শতাধিক ইয়োগা আসন শিখে ফেলেছে আনভি। পেয়েছে ন্যাশনাল চাইল্ড অ্যাওয়ার্ড। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায়ও রয়েছে প্রাপ্তি। সেখানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন নয়, বরং সুস্থ ব্যক্তিদের সাথেই লড়েছে সে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply