বিকল্প বিনিয়োগের সুযোগ তৈরির উদ্যোগ; পুঁজিবাজারে ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু কাল

|

দেশের পুঁজিবাজারের প্রায় পুরোটাই ইক্যুইটি নির্ভর। তাতে বৈচিত্র আনার চেষ্টা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এর ধারাবাহিকতায় বন্ড মার্কেট কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এতোদিন সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করতো শুধু বাণিজ্যিক ব্যাংক। এক ব্যাংকের ইস্যু করা বন্ডে বিনিয়োগ করতো আরেক ব্যাংক।

এখন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সবধরনের বন্ড। কিনতে পারবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সরকারি ট্রেজারি বন্ডে পরীক্ষামূলক লেনদেন শুরু হচ্ছে আগামীকাল সোমবার (১০ অক্টোবর)। সবকছিু ঠিক থাকলে পুরোমাত্রায় লেনদেন শুরু হবে আগামী মাসের শুরুতে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি জানিয়েছে, বন্ড চালু হলে অনেকে বিকল্প বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। ঝুঁকি কম থাকায় পুজিবাজারে অস্থিরতাও অনেকটাই কমে আসবে। পর্যায়ক্রমে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের বন্ডও তালিকাভুক্ত হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, যখন স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ট্রেড হওয়া শুরু হবে তখন সরকারি সিকিউরিটিজগুলো আমাদের জনগণ কেনাবেচা করতে পারবে। যেটা হয়তো আগে ততটা সুযোগ ছিল না। ডিএসসি, সিএসসি ও সিডিবিএলের মক টেস্ট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ট্রায়াল রানে সবকিছু ঠিকমতো হলে আগামী মাসে উদ্ধোধন করা হবে।

পুঁজিবাজারে বন্ডের লেনদেন শুরু হলে বিকল্প বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে। বন্ড মার্কেট কার্যকর হলেও ব্যাংকের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ঋণের চাপ কমে আসবে বলেও মনে করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বন্ডে লেনদেন শুরু হলে বিনিয়োগাকারী ও ব্যবসায়ীরা সুফল পাবে। যেখানে এফডিআর, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের জায়গা যদি কমেও যায়, বন্ডের মার্কেট বড় হবে। রিটার্ন ভালো হবে।

বন্ড মার্কেট কার্যকরের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাজার বিশ্লেষকরাও। লাভের বিষয়টি নিশ্চিত থাকায় এখানে বিনিয়োগ অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত। বন্ড চালুর ফলে পুজিবাজারের অস্থিরতাও অনেকটাই কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান জানান, বন্ড মার্কেট বড় হলে বিনিযোগকারীদের জন্য বিকল্প সুযোগ থাকছে। বন্ড মার্কেটে আপস অ্যান্ড ডাউন সেভাবে থাকে না। এ বাজারে ইন্টারেস্ট রেট নির্ধারিত থাকে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বন্ড তারা কিনবে, যারা নিশ্চিত এবং ফিক্সড রিটার্ন চায়। যারা লস করতে চায় না। তাদেরও একটা শ্রেণি আছে। সঞ্চয়পত্রে যারা যায় তারা। সঞ্চয়পত্রে ১০ শতাংশ লাভ পেলে এখানে ১২ শতাংশ পাবে।

ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেয়া কঠিন হলে পুঁজিবাজারে কর্পোরেট বন্ডের বাজার সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply