আমদানি করা ফলের বাজারে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। স্বাভাবিকের চেয়ে সরবরাহ কম থাকায় প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে বিদেশি ফল। জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি এবং ‘নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক’ আরোপ করায় সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে ফল।
তবে, তুলনামূলক দাম কিছুটা কম থাকায় অনেকেরই কাছে দেশি ফলই ভরসা। ক্রেতারা জানালেন, কয়েকটি দোকান ঘুরে তারপর ফল কিনছেন। কারণ হিসেবে জানান, ফলের দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে।
খুচরা পর্যায়ে আমদানি করা সাদা আঙ্গুরের কেজি এখন ৬০০ টাকা। যা ৫ মাস আগেও বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়। কেজি প্রতি নাশপাতি ও আপেল কিনতে লাগছে ৩০০ টাকা। লাল আঙ্গুরের জন্য গুনতে হবে ৪০০ টাকার বেশি। বাজারে বিক্রি হওয়া ফলের ৮০ ভাগই বিদেশি। দাম বৃদ্ধির কারণে কমেছে বিক্রিও।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কমেছে এবং আগের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বিদেশি ফলকে বিলাস পণ্য আখ্যা দিয়ে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করেছে সরকার। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন। বেড়েছে জাহাজ ভাড়াও। যার কারণে কমেছে ফল আমদানি।
ফ্রেশ ফ্রুট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগে ডলারের রেট ছিল ৮৫ টাকা। এখন ডলার প্রতি রেট ১০৫ থেকে ১০৮ টাকার মধ্যে। ডলারের কারণে দাম বাড়ছে। পাশাপাশি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জাহাজের রুট পরিবর্তন হয়েছে। আর তাতে ভাড়া বেড়েছে জাহাজের।
অবশ্য ক্রেতাদের অভিযোগ, তদারকি না থাকায় প্রকৃত দামের চেয়ে বিদেশি ফলে বেশি মুনাফা করছে ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ।
/এমএন
Leave a reply