কিয়েভে ভয়াবহ হামলা, ইরানের ‘কামিকাজে ড্রোন’ ব্যবহারের অভিযোগ

|

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সোমবার (১৭ অক্টোবর) চারদফায় ছোড়া হয়েছে কমপক্ষে ২৮টি ড্রোন। বিস্ফোরণে অন্তত তিন জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। আরও ১৯ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

ইউক্রেনের অভিযোগ, হামলায় এবারও ইরানের নির্মিত ‘কামিকাজে ড্রোন’ ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে রুশ বহরের হতাশাই প্রকাশ পাচ্ছে, এমনটা দাবি ইউক্রেনীয় সরকারের। খবর রয়টার্সের।

এদিন, স্থানীয় সময় ভোর ৬টা নাগাদ কিয়েভে বাজতে থাকে বিমান হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন। এর কয়েক মিনিট পরই হয় হামলা। ৪ দফায় ঘটে জোরালো বিস্ফোরণ। যার দুইটিই সিটি সেন্টার ভবনের চারপাশে।
শুধু রাজধানী নয়, একইসময়ে সামি ও নিপ্রো অঞ্চলেও চালানো হয়েছে হামলা। তাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগও।

ইউক্রেনের চিফ অব স্টাফ আন্দ্রে ইয়ারমাক বলেন, ইউক্রেনের রাজধানী কামিকাজে ড্রোন হামলার শিকার। রুশরা ভাবছে, এটা রণক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। কিন্তু এরমাধ্যমে তাদের হতাশা প্রকাশ পাচ্ছে। কারণ, গেলো সপ্তাহ থেকেই কিয়েভসহ অন্যান্য শহরগুলোয় বোমা-ক্রুজ-মিসাইলের পাশাপাশি শহিদ কামিকাজে ড্রোনের ব্যবহার বাড়িয়েছে রাশিয়া। স্পষ্টভাবেই এটা ক্রাইমিয়া ব্রিজ ধ্বংস হওয়ার প্রতিশোধ।

কিন্তু কী এই কামিকাজে ড্রোন? মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মঘাতী এক জাপানি সেনানীর স্মরণে হয়েছে এই যুদ্ধাস্ত্রের নামকরণ। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পরই ধ্বংস হয় ড্রোনটি। বিস্ফোরকে ভরা বিমানগুলোর ওজন আকারভেদে আড়াই থেকে সাড়ে ২২ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। উড়তে পারে সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট।

গত সপ্তাহেও কিয়েভসহ ইউক্রেনের কমপক্ষে ৪০টি শহরে হামলা চালায় রাশিয়া। সেসময় বিশ্লেষকরা জানান, ক্রাইমিয়ার সাথে রাশিয়ার একমাত্র সংযোগ সেতু কের্চ ব্রিজ ধ্বংসের কারণেই এ আগ্রাসী মনোভাব। কেননা, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাফল্যের ধারকবাহক এই সেতু।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply