জন্মহার বাড়াতে এবার বিশেষ উদ্যোগ নেবে চীন

|

জন্মহার বাড়াতে বিগত কয়েক বছর ধরেই কাজ করছে চীন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটিতে আশঙ্কাজনকভাবে জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে দিন দিন। একই সাথে বাড়ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা, অর্থনীতিতে যাদের অবদান ধরতে গেলে শুন্য। তাই জন্মের হার বাড়াতে চীনে নতুন করে বিভিন্ন নীতি প্রণয়নের কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। খবর ইউরো নিউজের।

রোববার (১৬ অক্টোবর) কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন শি জিনপিং। বলেন, আমরা জন্মহার বৃদ্ধির জন্য একটি অধিক কার্যকর ও কঠোর নীতি প্রতিষ্ঠা করবো। সেই সাথে বার্ধক্যে পৌঁছানো জনগণের জন্য একটি সক্রিয় জাতীয় কৌশলও প্রণয়ন করা হবে।

বর্তমানে চীনের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। তবে মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগই বয়স্ক বা বার্ধক্যে ভুগছেন। নতুন শিশু জন্মের হার দেশটিতে দিন দিন কমছে। চলতি বছরও জন্মহারের রেকর্ড পতন দেখেছে চীন। দেশটির জনসংখ্যাবিদরা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের চেয়ে চলতি বছর নতুন শিশু জন্মের হার ১১.৫ শতাংশ কম। অর্থাৎ, জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য যেসব নীতি নেয়া হয়েছে সেগুলো কার্যত ব্যর্থ।

১৯৮০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত চীনে এক সন্তান নীতি চালু ছিল কঠোরভাবে। তবে এর প্রভাবে জনসংখ্যার ক্রমশ পতন হলে ধীরে ধীরে চীন তিন সন্তান নীতি প্রণয়ন করে। সন্তান নেয়ার জন্য দম্পতিদের উৎসাহিত করতে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে চীন। এর মধ্যে আছে শুল্ক কর্তন, মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়কাল বৃদ্ধি, মেডিকেল ইনস্যুরেন্স বৃদ্ধি, গৃহ ভর্তুকি এবং তৃতীয় সন্তানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান। এতো কিছুর পরও চীনের জনসংখ্যার হার বর্তমানে গোটা বিশ্বে সর্বনিম্ন।

জনসংখ্যাবিদদের মতে, এতোসব উদ্যোগ নিয়েও জন্মহার বাড়ানো যাচ্ছে না তার কারণ জীবনধাণের উচ্চ ব্যয়। সেই সাথে আছে শিক্ষার পেছনে বিশাল অংকের খরচ, লম্বা কর্মঘণ্টা এবং সেই তুলনায় কম বেতন। এ জন্যই চীনে সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে অনাগ্রহী হয়ে পড়ছেন দম্পতিরা। তাই জনসংখ্যা বাড়াতে এই দিকগুলোর দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ তাদের।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply