এখনও স্বাভাবিক হয়নি শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি, জ্বালানি সংকটে কর্মহীন বহু জেলে

|

এখনও সংকট কাটেনি শ্রীলঙ্কায়। অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি এখন জ্বালানির অপ্রতুলতার কারণে ভোগান্তি বেড়েই চলেছে দেশটিতে। জ্বালানির অভাবে জীবিকা হারিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন দেশটির মান্নার দ্বীপের জেলেরা। কেরোসিনের অভাবে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যেতেই পারছেন না তারা। একমাত্র জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের। খবর রয়টার্সের।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী এক জেলে বলেন, সাগরে গিয়ে মাছ ধরতে পারলেই আমাদের ঘরে খাবার আসে। তাই ঘরে কেরোসিন নেই মানে খাবারও নেই। ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যেতেও পারছি না এখন। তাই না খেয়েই কাটছে দিন।

শ্রীলঙ্কায় এখন জ্বালানির মূল্য আকশচুম্বী। তার ওপর পর্যাপ্ত মজুদও নেই দেশটিতে। গত কয়েক মাস ধরে দ্বীপটিতে পুরোপুরিভাবে বন্ধ ছিল কেরোসিন সরবরাহ। এখন কিছুটা চালু হলেও বাসিন্দাদের প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল। তাছাড়া কালোবাজারে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রির অভিযোগও রয়েছে।

এ নিয়ে এক ভুক্তভোগী বলেন, বর্তমানে কেরোসিনের যে দাম তা আমাদের পক্ষে কেনা অসম্ভব। এছাড়া সরকারের নির্ধারিত দামেও বিক্রি করা হচ্ছে না। এভাবে জীবন চালানো সম্ভব না।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের কড়া নজরদারির দাবি জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। একই সাথে অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নতুন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে তারা। এ নিয়ে থালভুপাদু জেলে কমিটির প্রধান রাজা ক্রুজ বলেন, পেট্রোল, ডিজেলের মতো দামি জ্বালানি লাগবে না। কেরোসিন হলেই চলবে। এখানকার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মাছ ধরেই জীবন ধারণ করে। কিন্তু গত তিন মাস ধরে মাছ ধরা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন সরকার আসার পরও কোনো পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি না।

আগে শ্রীলঙ্কায় প্রতি লিটার কেরোসিনের দাম ছিল ৮৩ লঙ্কান রুপি। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪০ রুপিতে। কালোবাজারে এক লিটার ১৮০০ রুপি পর্যন্তও বিক্রি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply