যেভাবে কাজ করে ডিএলএস মেথড

|

অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে একের পর এক বাগড়া দিচ্ছে বৃষ্টি। মূলপর্বের লড়াইয়ে টুর্নামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বৃষ্টি আইন। ডিএলএস মেথডের সমীকরণ মাথায় রেখে তাই মাঠে নামতে হচ্ছে দলগুলোকে। তবে কীভাবে করা হয় ডিএলএস মেথডের হিসাব নিকাশ?

১৯৯২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১৩ বলে ২২ রান। ঠিক তখনই নামে বৃষ্টি। বৃষ্টি থামার পর তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১ বলে ২২ রান। ডাকওয়ার্থ তার বইয়ে উল্লেখ করেন ওই মুহূর্তে রেডিওতে ধারাভাষ্যকার বলছিলেন নিশ্চয়ই কেউ আরও কার্যকর কোনো পদ্ধতি নিয়ে আসবেন। তখনই এই গাণিতিক সমস্যাটা অনুধাবন করেন ডাকওয়ার্থ।

ব্রিটিশ পরিসংখ্যানবিদ ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও টনি লুইসের এ পদ্ধতি ১৯৯৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসি গ্রহণ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে। ১৫ বছর পর ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার অধ্যাপক স্টিভেন স্টার্ন মূল পদ্ধতির হিসাব হালনাগাদ করায় এ পদ্ধতির পরিবর্তিত নাম হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন বা ডিএলএস।

কীভাবে কাজ করে ডিএলএস মেথড? প্রশ্নটা সহজ হলেও অঙ্কটা জটিল। ডিএলএস মেথডে ফলাফল পাওয়ার জন্য মূলত তিনটি বিষয় বিবেচনা করা হয়। প্রথমত, মোট রান। দ্বিতীয়ত, বাকি ওভার এবং তৃতীয়ত হাতে কতো উইকেট আছে।

ধরা যাক, বাংলাদেশের স্কোর ২০ ওভারে ১৪৫। জিম্বাবুয়ে ৫.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৫। এমন অবস্থায় বৃষ্টির কারণে খেলা মাঠে না গড়ালে প্রথমেই আসবে পার স্কোরের হিসাব। সূত্র অনুযায়ী, (বাংলাদেশের স্কোর x জিম্বাবুয়ের ব্যবহৃত রিসোর্স পার্সেন্টেজ)+১=জিম্বাবুয়ের জন্য পার স্কোর। রিসোর্স টেবিল থেকে বাদবাকি ওভার আর হারানো উইকেট বিবেচনায় নেয়া হবে রিসোর্স পার্সেন্টেজ। সেখান থেকে জিম্বাবুয়ের ব্যবহৃত রিসোর্স বের করে সূত্রে বসালে তাদের জন্য পার স্কোর দাঁড়ায় ৪৭। অর্থাৎ ১২ রানে পিছিয়ে থেকে ম্যাচ হারবে জিম্বাবুয়ে।

তবে বৃষ্টি বিরতির পর খেলা আবারও মাঠে গড়ালে পরিবর্তন আসবে সূত্রে। রিভাইজড টার্গেটের ক্ষেত্রে এই ম্যাচে হিসাব করা হবে (বাংলাদেশের স্কোর x জিম্বাবুয়ের ব্যবহৃত রিসোর্স পার্সেন্টেজ/বাংলাদেশের ব্যবহৃত রিসোর্স পার্সেন্টেজ) + ১।

তবে, ওয়ানডে ম্যাচের ক্ষেত্রে দুই প্রতিপক্ষ কমপক্ষে ২০ ওভার এবং টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫ ওভার ব্যাট করার সুযোগ না পেলে ডিএলএস কার্যকর হয় না।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply