আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে এবারের ক্ষেপণাস্ত্রটি অতিক্রম করেছে দেশটির সমূদ্রসীমা। কোরিয় উপদ্বীপ সৃষ্টির পর প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া কোনো মিসাইল দেশটির সমূদ্রসীমা অতিক্রম করলো। এ ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নেতারা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠকে বসেছেন বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।
বুধবার (২ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় একটি স্বল্প মাত্রার ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। যা দক্ষিণ কোরিয়ার সকচোর ৫৭ কি.মি. পূর্বে ও উল্লেউংডোর ১৬৭ কি.মি. উত্তর-পশ্চিমে সমূদ্রে আঘাত হানে। কোরিয় উপদ্বীপ বিভক্ত করার পর এই প্রথমবারের মতো নিজেদের সমূদ্রসীমার বাইরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো পিয়ংইয়ং।
এর প্রতিক্রিয়ায় ৩টি মিসাইল ছুড়ে জবাব দিয়েছে সিউল। আর, উত্তর কোরিয়ার এমন আচরণকে অগ্রহণযোগ্য ও কার্যকর আঞ্চলিক আগ্রাসন বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়ল।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর দাবি- বুধবার সকালে অন্তত ১০ মিসাইল ছুড়েছে পিয়ংইয়ং। যার জবাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা বাহিনী ছুড়েছে ৩টি মিসাইল।
এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফের পরিচালক কাং শিন চুল বলেন, নিজেদের সমূদ্রসীমা অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল নিক্ষেপ খুবই অপ্রত্যাশিত এবং অগ্রহণযোগ্য। কোরিয় উপদ্বীপ সৃষ্টির পর এই প্রথম তারা সমূদ্রসীমার বাইরে মিসাইল ছুড়েছে। আমরা সমচিত জবাবও দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধের আহ্বান জানিয়ে উত্তর কোরিয়া বলেছিল, তারা সামরিক মহড়া বন্ধ না করলে কড়া জবাব দেয়া হবে। আর তার ঠিক পরের দিনই নিজেদের সমূদ্রসীমার বাইরে মিসাইল ছুড়লো পিয়ংইয়ং।
/এসএইচ
Leave a reply