যুদ্ধের সমাপ্তি শুরু হলো: জেলেনস্কি

|

দ্য ইকোনমিক টাইমস থেকে নেয়া ছবি।

চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, বলেন- আরও কঠিন পথ বাকি আমাদের সামনে। খেরসন পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে সবে মাত্র শুরু হলো যুদ্ধের সমাপ্তি টানা। খবর বিবিসির।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে যুদ্ধ শেষের আশাবাদ ব্যক্ত করার পাশাপাশি খাদ্যশস্য পরিবহন চুক্তির মেয়ার বৃদ্ধির তাগিদ দেন জেলেনস্কি।

খেরসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা-প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ধ্বংসস্তুপ। রুশ আগ্রাসনে ধুলোয় মিশে গেছে যোগাযোগ অবকাঠামো। মূলত, বর্হিবিশ্ব এবং ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাই ছিলো রাশিয়ার খেরসন আক্রমণের লক্ষ্য। সম্প্রতি, জেলেনস্কি প্রশাসন খেরসন পুনরুদ্ধারের পর বেরিয়ে আসছে এমন ভয়াবহ সব তথ্য।

এর আগে, সোমবার (১৪ নভেম্বর) ইউক্রেনীয় সেনা বাহিনীর সাফল্য উদযাপনে খেরসন পরিদর্শনে যান জেলেনস্কি। সেনা সদস্যেদের হাতে তুলে দেন পুরস্কার, দেন বীরের সম্মান। বলেন, যুদ্ধ সমাপ্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, খেরসন এর প্রথম ধাপ।

খেরসনে সেনা সদস্যদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, এটাতো কেবল যুদ্ধের সমাপ্তির শুরু। আমাদের শক্তিশালী সেনাবহর একে একে দখল হওয়া সবগুলো এলাকা পুনরুদ্ধার করবে। কিন্তু, সেটি দীর্ঘমেয়াদী এবং কষ্টদায়ক প্রক্রিয়া। কারণ, যুদ্ধে আমাদের নায়কদের হত্যা করেছে রাশিয়া; বাকিরা বন্দি। সেনা প্রত্যাহারের নামে যে মিথ্যাচার করছে তারা সেটিও বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাই, শক্ত অবস্থান ও কঠোর নিরাপত্তা বহাল থাকবে খেরসনে।

অবশ্য, খেরসনের নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে এখনও কঠোর অবস্থানে রাশিয়া। মস্কো সাফ জানিয়ে দিয়েছে, খেরসন রুশ ফেডারেশনের অংশ।

এ প্রসঙ্গে রুশ রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, জেলেনস্কির খেরসন সফর সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কারণ সবাই জানে, এটা রুশ ফেডারেশনের অংশ। যেকোনো মুহুর্তে সেখান থেকে দখলদারদের সরানোর সক্ষমতা রাখে মস্কো।

এদিকে জাতিসংঘের দাবি, খেরসনের বেসামরিক এলাকায় হামলা এখনও বন্ধ হয়নি। এমন চলতে থাকলে আরও ঘোলাটে হবে যুদ্ধ পরিস্থিতি।

জাতিসংঘের সহযোগী মুখপাত্র স্টিফানি ট্রেম্বলে বলেন, খেরসনে কর্মরত মানবাধিকারকর্মীরা জানিয়েছেন- এখনও বেসামরিক ঘরবাড়ি-স্থাপনায় হামলা চালানো হচ্ছে। যা যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করছে। গতকালও মিসাইল ছুঁড়ে ধ্বংস করা হয়েছে একটি স্কুল। যেখানে প্রবেশাধিকার মিলছে, সেখানেই সহযোগিতা পৌঁছে দিচ্ছেন জাতিসংঘ কর্মীরা। গেলো ৮ মাসে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে সহায়তা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার ৬ হাজারের বেশি খেরসনবাসীকে শুকনো খাবার-পানি-কম্বল-প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং সোলার ল্যাম্প বিতরণ করেছে জাতিসংঘের নানা সহযোগী সংগঠন। আগামী মাস পর্যন্ত হাজারের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য স্থানীয় হাসপাতালগুলোকে দেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply