ফরোয়ার্ড নয়, প্লে মেকারের ভূমিকায় মাঠ মাতাচ্ছেন গ্রিজমান

|

ছবি: সংগৃহীত

ইংল্যান্ড বধে ফ্রান্সের মূল কারিগর ছিলেন প্লে মেকার আতোয়ান গ্রিজমান। গোল করেছেন শুয়ামেনি ও জিরু। কিন্তু দু’টি গোলেরই জোগান দিয়েছেন ফ্রি রোলে এবারের বিশ্বকাপ মাতানো গ্রিজমান। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিনটি অ্যাসিস্ট নিয়ে ফ্রান্সের হয়ে সর্বাধিক অ্যাসিস্টের মালিকও এখন তিনি। ইংল্যান্ড ম্যাচের পর সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ মরক্কো নিয়ে গ্রিজমান বলেছেন, ইংল্যান্ডকে হারানোর পর হয়তো অনেকেই ভাবছেন মরক্কোর বিপক্ষে সহজ জয় পাবো আমরা। কিন্তু এমনটি ভাবলে আপনি ভুল।

ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগে পুরো ইংল্যান্ড দল, দেশটির গণমাধ্যম, ফুটবলপ্রেমী সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল একটি প্রশ্ন, কীভাবে আটকানো যাবে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। ফ্রান্সের এই সুপারস্টারের বিপক্ষে অনেকটাই সফল ছিল ইংলিশরা।

কিন্তু ক্লাব ফুটবলে সেরা ছন্দের খোঁজে থাকা আতোয়ান গ্রিজমানকে নিয়ে হয়তো বাড়তি কোনো পরিকল্পনা করেনি ইংল্যান্ড। যার খেসারত দিয়েছে দলটি। ইনজুরি জর্জরিত ফ্রান্স বিশ্বকাপ দলে এবার গ্রিজমানকে ভিন্ন দায়িত্ব দেন কোচ দিদিয়ের দেশম। ফরোয়ার্ড হলেও প্লে মেকারের দায়িত্ব দেয়া হয় এই নাম্বার সেভেনকে। ফ্রি রোলে পুরো মাঠে দুর্দান্তভাবে খেলে সেই দায়িত্ব পালন করেছেন গ্রিজমান। নাম্বার টেনের ভূমিকা নিয়ে শুয়ামেনির প্রথম গোলের জোগানদাতাও তিনি।

অলিভিয়ের জিরুর দ্বিতীয় গোলের লম্বা ক্রসটিও আসে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে খেলা এই ফুটবলারের পা থেকে। বিশ্বকাপে এটি ছিল গ্রিজমানের তৃতীয় অ্যাসিস্ট। ফ্রান্সের হয়ে সর্বাধিক ২৮টি অ্যাসিস্টের মালিক এখন এই প্লে মেকার। ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম গোলে অ্যাসিস্ট করে থিয়েরি অরির সর্বোচ্চ ২৭ অ্যাসিস্ট ছোঁয়ার পর দ্বিতীয় গোলের জোগান দিয়ে এককভাবে শীর্ষস্থানটি দখল করেছেন গ্রিজমান। ফ্রান্সের তৃতীয় সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট জিনেদিন জিদানের ২৬টি।

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গোল করে থিয়েরি অরির ৫১ গোলকে টপকে ফ্রান্সের সর্বকালের সেরা গোল স্কোরারের মসনদ দখল করেন অলিভিয়ের জিরু। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরও একটি গোল করে ফ্রান্সের জার্সিতে ৫৩ গোলের মালিক এই ফরোয়ার্ড।

সেমিফাইনালে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমক মরক্কো। আফ্রিকার দেশটির বিপক্ষে সহজ জয় পাবে ফ্রান্স, এমন ধারণা কারো থাকলে তা ভাঙতে চাইছেন দিদিয়ের দেশম। তিনি বলেন, ইংল্যান্ডকে হারানোর পর হয়তো অনেকেই ভাবছেন মরক্কোর বিপক্ষে সহজ জয় পাবো আমরা। কিন্তু আপনি ভুল। এই দলটা কী করেছে তা একবার ভেবে দেখুন। তারা পুরো বিশ্বকাপে মাত্র একটি গোল খেয়েছে। মরক্কোর জন্য কোনো অঘটন নয়। জায়ান্টদের মতোই সমান গুরুত্ব দিয়ে তাদের সাথে সেমিতে লড়তে হবে আমাদের।

১৫ ডিসেম্বর আল বায়েত স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রাত একটায় মরক্কোর বিপক্ষে মাঠে নামবে ফ্রান্স।

আরও পড়ুন: ম্যাচ হেরে রেফারিকে দায়ী করছেন ইংলিশ ফুটবলাররা

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply