ভোজ্যতেলের আমদানি কমাতে উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ

|

তাজনুর ইসলাম:

দেশে ভোজ্যতেলের শতকরা ৯০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে বছরে ব্যয় হয় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। চ্যালেঞ্জিং এ সময়ে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। লক্ষ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে তেলজাতীয় শস্যের আবাদ বাড়বে ৪০ শতাংশ।

এদিকে, দেশের সব অঞ্চলের অনাবাদী, চাষযোগ্য জমিতে তেলজাতীয় শস্য আবাদের প্রবণতাও বাড়ছে। আমন কাটার পর থেকে বোরো রোপনের মাঝের সময়ে বিশেষ জাতের সরিষা উৎপাদনে কৃষকদের নানাভাবে উৎসাহিত করছে সরকার। সরকারি প্রকল্পের অধীনে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ৩ মাসেরও কম সময়ে সরিষা উঠে আসায় খুশি কৃষকরাও।

তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, কৃষকদের মধ্যে সাড়া জাগ্রত হয়েছে তেল জাতীয় ফসল বৃদ্ধির বিষয়ে। চলতি বছর ১০ লাখ বিঘা জমিতে সরিষা চাষে প্রণোদনা পাচ্ছেন কৃষকরা। লক্ষ্যমাত্রা, তিন বছরে দেশব্যপী চাষাবাদের আওতায় আসবে সাড়ে ২০ লাখ হেক্টর জমি।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল বীজ সরবরাহ করায় সরিষায় আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। লক্ষ্য পূরণে অব্যাহত থাকবে সব ধরনের সহায়তা।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলছিলেন, ধানের উৎপাদন যদি কিছুটা বাড়াতে পারি তাহলে সরিষা চাষে জমি কিছুটা কম লাগবে। সেখানে সরিষা চাষ করা সম্ভব। এছাড়া যেসব জমি খালি পড়ে আছে, সেখানে বিভিন্ন ফসল করে জমির ওপর চাপ কমানো সম্ভব। উৎপাদন ক্ষমতা কম থাকায় চাষীরা সরিষার চাষ কম করতো। এখন আমাদের বিজ্ঞানীরা এমন বিজ নিয়ে আসছে, যেটার উৎপাদনশালীতা বিঘাপ্রতি ৬ থেকে ৮ মণ।

বিভিন্ন এলাকায় প্রদর্শনী কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রথমে সাড়া কম মিললেও অনেকেই এখন সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানান স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply