মেসির গায়ের ‘বিশত’ বাংলাদেশে তৈরি?

|

ফাইল ছবি

বগুড়া ব্যুরো:

বিশ্বকাপ ট্রফি গ্রহণের সময় লিওনেল মেসির গায়ে জড়ানো বিশত, নতুন করে আলোচনায় এনেছে আরব বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী পোশাকটি। অনেকেই বলছেন, মেসির গায়ে দেয়া বিশতটি তৈরি হয়েছে বগুড়ায়।

প্রায় একযুগ সৌদি আরবে, মধ্যপ্রাচ্যের রাজকীয় আলখেল্লা ’বিশত’ তৈরির কাজ করতেন বগুড়ার রায়হান আলী। দেশে ফিরে ২০১৩ সালে ৪ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজেই করেন কাজ। প্রবাসে থাকা দুই ভাইয়েরও কারখানা রয়েছে একই গ্রামে।

দেশে বিশত তৈরির উদ্যোক্তা রায়হান আলী বলেন, ২০১৩ সালে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ৪ জনকে সাথে নিয়ে এই বিশত তৈরি শুরু করি।

নাম কিংবা চেহারাতেই রাজকীয় নয়, একেকটি বিস্ত তৈরিতে সময় ও শ্রম লাগে অন্য পোশাকের চেয়েও বেশি। কাটিং থেকে শুরু করে কয়েকটি ধাপে সোনালী সুতার কারুকাজ শেষে; একটি বিশত তৈরিতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ দিন।

রাজকীয় পোশাক পরার পর খবর রটায়, বগুড়ার তৈরি বিশত -ই পড়েছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এখানকার বিশত কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যে তুমুল জনপ্রিয়। তবে ১০ লাখ টাকায় তৈরি হীরা-সোনা খচিত মেসির বিশতটি বাংলাদেশের নয়।

এ ব্যাপারে বিশত তৈরির উদ্যোক্তা রায়হান আলী বলেন, মেসির গায়ে যে বিশতটি ছিল সেটি বাংলাদেশের তৈরি নয়। সেটি তৈরি করেছে কাতারেরই একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির নাম ক্রাউন প্রিন্স রয়েল টেইলর।

নিজেদের তৈরি না হোক, সুঁই-সূতায় যে বিশেষ পোশাক তারা তৈরি করেন; তেমনি একটি মেসির গায়ে ওঠায় আনন্দ ছুঁয়ে যায় এখানকার কারিগরদের।

বগুড়ার কারখানা থেকে সৌদি আরব, কাতার, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিমাসে আড়াইশটি বিশত রফতানি হয়। সেদেশগুলোতে একেকটির বিক্রি হয় ২০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায়।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply