পশ্চিমাদের জ্বালানির দাম বেধে দেয়ার সিদ্ধান্তের জবাবে এবার পাল্টা ব্যবস্থা নিলো রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক ডিক্রিতে জানানো হয়েছে, দাম বেধে দেয়া দেশগুলোর কাছে তেল বিক্রি করবে না মস্কো। আগামী ৫ মাসের জন্য বহাল থাকবে এ সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) এ বিষয়ক এক ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন ভ্লাদিমির পুতিন। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেন যুদ্ধের খরচ যোগাতে তেল বিক্রির অর্থ ব্যবহার করে রাশিয়া- এ যুক্তিতে গত সেপ্টেম্বরে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেয় ধনী দেশগুলোর জোট- জি সেভেন, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যা, কার্যকর হয়েছে গত ৫ ডিসেম্বর থেকে। লক্ষ্য, মস্কোর রাজস্ব আদায় কমানো।
এবার এলো রাশিয়ার পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার পালা। পশ্চিমাদের নির্ধারিত তেলের দাম না মানার কথা আগেই জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ঘোষণা দিলেন, শুধুমাত্র দাম বেধে দেয়া দেশগুলোর কাছে বিক্রিই করবেন না জ্বালানি।
সরকারি পোর্টাল ও ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় পুতিনের স্বাক্ষরিত ডিক্রি। যেখানে বলা হয়, আগামী বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত জি-সেভেন, ইইউ ও অস্ট্রেলিয়ায় অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তেলজাতীয় অন্যান্য পণ্যের বিষয়েও দ্রুত নেয়া হবে সিদ্ধান্ত। অনেক কোম্পানিও আছে নিষেধাজ্ঞার এ তালিকায়।
ডিক্রির একটি ধারায় বলা হয়, চাইলে বিপদগ্রস্ত কোনো দেশকে সহায়তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারবেন পুতিন। এর আগে, রুশ প্রেসিডেন্ট সতর্ক করেছিলেন, দাম বেধে দেয়ায় অস্থিরতা তৈরি হবে তেলের বাজারে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ প্রসঙ্গে বলেন, রাশিয়া বা অন্য যেকোনো দেশের তেলের দাম কৃত্রিমভাবে নির্ধারণ করা হলে, তা অবশ্যই বৈশ্বিক জ্বালানি খাতে অস্থিরতা তৈরি করবে। যোগান কমে যাবে, দাম বেড়ে যাবে। আর এর ভুক্তভোগী হবে দরিদ্র দেশগুলো।
বর্তমানে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ব্যারেল জ্বালানির দাম ৮০ ডলার। যা গত মার্চ ও জুনে দাঁড়িয়েছিল ১২০ ডলারে। তবে জ্বালানির দাম বেধে দেয়ার বিশেষ প্রভাব পড়েনি রাশিয়ার অর্থনীতিতে। পশ্চিমা বিশ্বে কমলেও, অন্যতম শীর্ষ আমদানিকারক ভারত ও চীনে বেড়েছে চাহিদা। গত মাসেও চীন ও ভারত দৈনিক দশ লাখ ও নয় লাখ ব্যারেল করে তেল কিনেছে রাশিয়ার কাছ থেকে।
/এসএইচ
Leave a reply