চীনকে ঠেকাতে এক সাথে কাজ করবে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র, পাল্টা হুঁশিয়ারি চীনের

|

চীনকে ঠেকাতে একসাথে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার বৈঠক শেষে এ ঘোষণা আসে। বেইজিং বিরোধী এই প্রচেষ্টায় ইউরোপের মিত্ররাও থাকবে বলে জানান কিশিদা। তবে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীনও। স্নায়ু যুদ্ধকে উস্কে দেয়ার অভিযোগ এনেছে শি জিনপিং প্রশাসন। খবর আল জাজিরার।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউজে বৈঠকে বসেন বাইডেন-ফুমিও। বাইডেনের জাপান সফরের বছর না পেরোতেই ফের আলোচনার টেবিলে দুই রাষ্ট্রপ্রধান। হংকং ও তাইওয়ান ইস্যুতে বেইজিংয়ের সাথে বিবাদের মাঝেই ওয়াশিংটন-টোকিওর এই ঘোষণায় নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের নানা ইস্যুতে আলোচনা হলেও সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় তাইওয়ানে চীনের তৎপরতার বিষয়টি। পাশপাশি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিও উঠে আসে বৈঠকে।

এ আলোচনায়, বেইজিংকে টোকিও এবং ওয়াশিংটনের জন্য হুমকি আখ্যা দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। চীনকে ঠেকাতে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান ফুমিও কিশিদা। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যকার কৌশলগত ও সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপরও জোর দেন তিনি। চীন বিরোধী এই প্রচেষ্টায় সামিল থাকার আহ্বান জানান ইউরোপীয় মিত্রদের প্রতিও।

ফুমিও বলেন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্য চীন একটি চ্যালেঞ্জের নাম। আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ও শান্তি বিনষ্ট করতে কারো একতরফা চেষ্টাকে কোনোভাবেই অনুমোদন দেবো না আমরা। বেইজিংকে প্রতিহত করতে ইউরোপকে সাথে নিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।

চীনের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রেক্ষিতে ফুমিও কিশিদার আহ্বানে সাড়া দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করতে সহমত প্রকাশ করেছেন তিনি।

বাইডেন বলেন, মিত্রদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কতখানি ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে ভবিষ্যতে কাজ করবো তা নির্ধারণের চেয়ে, কোন কোন ইস্যুতে আমাদের দ্বিমত রয়েছে তা খুঁজে বের করা জরুরি। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অর্থনীতিতে একসাথে ভূমিকা রাখবো।

এদিকে, বাইডেন-ফুমিওর বৈঠকের কঠোর সমালোচনা করেছে বেইজিং। স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে শি জিনপিং প্রশাসন। একই সাথে পক্ষপাতমূলক আদর্শের কারণে শত্রুতা না বাড়ানোর প্রত্যাশাও তাদের।

এ নিয়ে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান আসলে সামরিক শক্তি বাড়ানোর ছুতো খুঁজছে। আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে, তারা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। যা আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য আসল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন।

বৈঠকে উঠে আসে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গও। প্রেসিডেন্ট পুতিনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে যৌথ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই নেতার।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply