মায়া সভ্যতার নতুন নগরীর সন্ধান, ধারণার চেয়েও আধুনিক

|

ছবি : সংগৃহীত

গুয়াতেমালার উত্তরে এবং মেক্সিকোর দক্ষিণে গভীর জঙ্গলে মায়া সভ্যতার আধুনিক এক নগরের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। এলআইডিএআর’র মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রায় তিন হাজার বছরের পুরনো এ নগর খুঁজে পেয়েছেন তারা। খবর রয়টার্সের।

খবরে বলা হয়েছে, প্রায় ৬৫০ বর্গমাইল বিস্তৃত এলাকাটিতে ছিল অন্তত এক হাজার বসতি। তবে বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে, ধারণার চেয়েও আধুনিক সব স্থাপনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে নতুন এ নিদর্শনে।

নৃতাত্ত্বিক গবেষণা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা জোসেফিন থম্পসন বলেন, এলআইডিএআরের মাধ্যমে আমরা বিশাল এ ভূখণ্ডে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানি নিষ্কাশন পদ্ধতি, পরিবহন ব্যবস্থা, আবাসিক এবং কৃষি ভূমির অস্তিত্ব খুঁজে বের করেছি। এখন আমরা জানি, এখানে কোথায় ঠিক কী আছে।

এদিকে এত পুরনো নগরেও পাওয়া গেছে পাথরের তৈরি হাইওয়ের মতো আধুনিক স্থাপনা, যা বিস্মিত করেছে খোদ গবেষকদেরও। প্রায় ১৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৩০ ফুট প্রশস্ত ছিল এই মহাসড়ক। অস্তিত্ব পাওয়া গেছে পিরামিড আকৃতির কয়েকটি অবকাঠামোর। পানি সংরক্ষণ ও নিষ্কাশনের জন্য জলাধার, নালাও তৈরি করা হয়েছিল। এমনকি, বেশ কয়েকটি খেলার মাঠের অস্তিত্বও পাওয়া গেছে।

প্রত্নতত্ত্ববিদ জোসুয়ে গার্সিয়া বলেন, এ মহাসড়ক নগরটির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অংশ ছিল। এটি শুধুমাত্র এ এলাকার গোষ্ঠীগুলোর মধ্যেই নয়, বরং পুরো অঞ্চলের অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর সাথেও পরস্পরের যোগাযোগ তৈরি করেছিল।

প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা, পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম রহস্যঘেরা ও আধুনিক মায়া সভ্যতার শেষ সময়ে গড়ে উঠেছিল এ নগর। অত্যাধুনিক লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং প্রযুক্তির মাধ্যমে এরইমধ্যে গোটা নগরের মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই শুরু হবে খনন কাজ।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply