৫০ হাজার বছরের পথ পাড়ি দিয়ে, পৃথিবীর খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে সবুজ এক ধূমকেতু। যেটি বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতেই সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে ধরা দেবে পৃথিবীবাসীর চোখে। উত্তর গোলার্ধ্বের কোনো কোনো অঞ্চল থেকে খালি চোখেই দেখা মিলবে মহাজাগতিক এ অতিথির। কোথাও আবার সহায়তা লাগবে বাইনোকুলার, টেলিস্কোপের। খবর সিএনএনের।
গত বছরের মার্চে আবিষ্কৃত হয় অদ্ভুত দর্শন এক ধূমকেতু। নাসার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মানব সভ্যতা বিকাশের হাজার হাজার বছর আগে নিয়ানডার্থাল আমলে সর্বশেষ পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছিল এ মহাজাগতিক বস্তু। যার আনুষ্ঠানিক নাম, কমেট সি-টু থাউজ্যান্ড টোয়েন্টি টু- ইথ্রি বা জেটিএফ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অবশ্য এটিকে ডাকছেন ‘ডার্টি স্নোবল’ নামেও।
নাসার দেয়া তথ্য অনুসারে, গত ১২ জানুয়ারি সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছেছিল বরফ, ধূলা ও পাথরকণা দিয়ে তৈরি এ ধূমকেতু। আর, পৃথিবীর সবচেয়ে কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে ১ থেকে ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। দূরত্ব থাকবে প্রায় ৪২ মিলিয়ন কিলোমিটার।
উত্তর গোলার্ধ থেকে ভোরের দিকে সবচেয়ে স্পষ্ট হবে সবুজ এ ধূমকেতু। বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ তো বটেই, কিছু অঞ্চল থেকে দেখা যাবে খালি চোখেও। দক্ষিণ গোলার্ধের মানুষকে অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী মাস নাগাদ। তবে স্পষ্ট নয়, কিছুটা ঝলকানি দেখতে পাবেন তারা।
জানা গেছে, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ দিয়ে সবুজ ধূমকেতু দেখবেন নাসার বিজ্ঞানীরা। সৌরজগতের গঠন সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে এ ধূমকেতু- এমনিই প্রত্যাশা তাদের।
এ প্রসঙ্গে নাসার প্ল্যানেটারি সায়েন্টিস্ট ড. স্টেফানি মিলাম বলেন, নতুন কিছু আবিষ্কারের প্রত্যাশা করছি। যখন কাছাকাছি আসবে তখন কি ধরনের তথ্য পাওয়া যায় তা নিয়ে আমরা সত্যিই খুব এক্সাইটেড। কিছু অনুর ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার চেষ্টা হবে।
পৃথিবীর পথ পেরিয়ে আবার হাজার হাজার বছরের জন্য এগিয়ে যাবে জেডটিএফ। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি নাগাদ ধূমকেতুটি মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে বলেও জানান তিনি।
/এসএইচ
Leave a reply