ভূমিকম্পের পর তুরস্কে রেকর্ড ১৭০০ আফটারশক অনুভূত হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। তবে এসব আফটার শকের কারণে আরও কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গেছে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা। এর কয়েকঘণ্টা পর ফের ৭.৫ মাত্রার কম্পনে ভেঙে পড়ে আরও বেশ কিছু স্থাপনা। তবে এরপর থেকেই ঘনঘন কম্পন অনুভূত হতে থাকে ওই অঞ্চলগুলোতে। জানা গেছে, শুধুমাত্র কাহরা-মান-মারাস এলাকায় বিভিন্ন মাত্রার ১৬০৪টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। যা ভয়াবহ ও বিরল বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূল কম্পনের পর যেসব ভূকম্পন হয়েছে সেগুলোর সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ছয়। ছাড়া ৪ মাত্রার তিন শতাধিক এবং পাঁচ মাত্রার প্রায় ৫০টি আফটারশক হয়েছে। বিপুল এই ভূকম্পের কারণেই ভয়াবহতা ও ধ্বংসযজ্ঞ আরও বেড়েছে। এমনকি আগামী এক মাস এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছোট-বড় আফটারশকের ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যা ছয় থেকে সাত মাত্রার হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
এসজেড/
Leave a reply