সব হারিয়ে পথে, ভূমিকম্পে ভুক্তভোগী এসব মানুষের ভবিষ্যৎ কী?

|

তীব্র অনিশ্চয়তায় তাবুতে দিন কাটাচ্ছেন তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্প কবলিত এলাকার লাখো বাসিন্দা। স্বজন হারানোর বেদনা, নিরাপদ আশ্রয়, খাবারের অভাবে ভয়াবহ বিপর্যয়ে বেঁচে ফেরা মানুষগুলোর জীবনও হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ। সব কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে কবে ফিরতে পারবেন, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। খবর বিবিসির।

মাত্র এক সপ্তাহ আগেও প্রাসাদতুল্য বাড়িতে ছিল যাদের বসবাস, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্পে এখন তাদের ঠাঁই খোলা আকাশ, কিংবা কাপড়ের তাবু। আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গাও হচ্ছে না বেশির ভাগের।

এমন অবর্ণনীয় অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে এক ভুক্তভোগী বলেন, কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্পে সব শেষ হয়ে গেলো। এখন প্লাস্টিক বিছিয়ে তাবুতে থাকছি। তীব্র ঠান্ডা আর বাতাসে খুব কষ্ট হচ্ছে। খাবার, পানি সবকিছুরই অভাব। তুষার পড়ছে। আগুন জ্বালিয়ে বাচ্চাগুলোকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছি। যেটুকু সহায়তা পাচ্ছি, এর বাইরে আমাদের আসলে আর কিছুই করার নেই।

বিপর্যস্ত এসব বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াতে বহু দেশ ও দাতা সংগঠনের পাশাপাশি ব্যক্তিপর্যায়ে এগিয়ে গিয়েছেন দেশ-বিদেশের অনেকে। সাধ্যমতো সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

ওমর ফারুক নামে এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, আমাদের সবার রেস্টুরেন্ট আছে। ভূমিকম্পে ভুক্তভোগীদের খাবার দিয়ে সহায়তা করতে এখানে এসেছি। গরম গরম খাবার পেয়ে মানুষ যে কতটা খুশি হচ্ছে বোঝাতে পারবো না। প্রতিদিন দুই হাজার মানুষকে খাবার দিচ্ছি। যতদিন সম্ভব এই সহায়তা চালিয়ে যাবো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্ধার তৎপরতা শেষ করতেই দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া আরও সুদূর হতে পারে। স্বজন আর সর্বস্ব হারানো এসব মানুষের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply