জিসান আহমেদ:
আখের অভাবে চিনি উৎপাদনে পিছিয়ে পড়ছে সরকারি ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। একদিকে লোকসান অন্যদিকে আখ সংকট, সব মিলিয়ে ভালো নেই এই চিনিকল। সবশেষ মাড়াই মৌসুমে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। চিনি শিল্প রক্ষায় আখ চাষের পরিধি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সবশেষ ২০২২-২৩ মৌসুমে আখ সংকটে মাত্র ৪২ দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে যায় মিল। চিনি উৎপাদনের এই দুরাবস্থার একমাত্র কারণ আখের উৎপাদন কমে যাওয়া। আখ চাষ কম লাভজনক হওয়ায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষীরা।
স্থানীয় কয়েকজন বললেন, আমাদের আখের যে গুণগত মান, মাঠে তা কেউ খায় না। আখ চাষে লাভ নেই। চাষীরা আখ চাষে ঝুঁকছে না, অন্য ফসল চাষে আগ্রহ তাদের।
চিনি শিল্পকে বাঁচাতে আখ চাষের বিকল্প দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। এজন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চায় তারা। বললেন, বন্ধ হওয়ার অবস্থা এই চিনিকলের। এট রক্ষা করতে হলে আখ চাষের বিকল্প নাই। আখেরও গুণগত মান বাড়াতে হবে। পাশাপাশি আখের দামও বৃদ্ধি করতে হবে সরকারকে।
আখ সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, আখ উৎপাদনে চাষীদের আগ্রহী করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু বলেন, চাষীরা যদি আখ উৎপাদন না করে তাহলে আমরা মিল চালাতে পারবো না। অন্য দেশে চাষীরা এক একরে ১০০ টন উৎপাদন করে। আর আমাদের এখানে ২০ টন উৎপাদন করে। তাই তারা চাষে আগ্রহ পাচ্ছেন না। আমরা একন চাচ্ছি চাষীদের লাভবান করতে।
চিনিখাতে লোকসান গুনলেও ডিস্টিলারি বিভাগের মুনাফায় লাভের মুখ দেখে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি।
/এমএন
Leave a reply