বাইডেনের সফরের পর উজ্জীবিত জেলেনস্কি ও পশ্চিমা মিত্ররা, উল্টো সুর বেইজিংয়ের

|

জো বাইডেন ও ভোলদেমির জেলেনস্কি (ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি)।

রুশ অভিযান শুরুর এক বছর পূর্তিকে সামনে রেখে, কথার সুর গরম করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির দাবি, চলতি বছরই রুশ বাহিনীকে হঠানো হবে ইউক্রেন থেকে। তার মতে, বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও কাঠামো নির্ভর করছে ইউক্রেনের ওপর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কিয়েভ সফরের পর তৎপরতা বেড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও। দ্রুত ইউক্রেনকে সহায়তা সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে তারা। খবর এপির।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জো বাইডেন কিয়েভ ছাড়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে হওয়া বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। জানান, বৈশ্বিক কাঠামো এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নির্ভর করছে ইউক্রেন পরিস্থিতির ওপর। তাই যেভাবেই হোক না কেন, চলতি বছরই যুদ্ধের ইতি টানা হবে।

ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, বৈশ্বিক রাজনৈতিক কাঠামোর ভবিষ্যৎ কী হবে তা নির্ভর করছে ইউক্রেন পরিস্থিতির ওপর। তাই এ লড়াইয়ে যেকোনো উপায়ে রাশিয়ার পরাজয় নিশ্চিত করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সে লক্ষ্য নিয়েই আমাদের লড়াই করতে হবে। আমাদের মিত্ররাও আমাদের সেভাবেই সহায়তা করবে। যেভাবেই হোক ২০২৩ সালেই ইউক্রেন থেকে হটাতে হবে রুশ বাহিনীকে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের পর আরও উজ্জীবিত ইউরোপ ও পশ্চিমা শক্তি। শুধু সহায়তার পরিধি বাড়ানোই নয় বরং দ্রুত তা নিশ্চিত করার তাগিদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের।

এক বিবৃতিতে ইইউ এর পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, সময় এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখন আর আমলাতান্ত্রিক সময়ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। আমরা যত দ্রুত ইউক্রেনকে সহায়তা পৌছাতে পারবো তত বেশি নিরাপরাধ মানুষকে বাঁচাতে পারবো। তাই, প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অস্ত্র-গোলাবারুদ এবং মানবিক সহায়তা যাই প্রয়োজন হোক না কেনো তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে না পারলে কোনো কাজেই আসবে না। তাই আমি ইউরোপীয় নেতাদের বলবো আপনারা আরও সতর্ক হোন, সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করুন।

এদিকে চীন বলছে, বাইডেনের এ সফর ইউক্রেন সংঘাতকে আরও উস্কে দেবে। ইউক্রেনের মতো অন্যান্য অঞ্চলেও সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগ পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং বলেন, আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করছে পশ্চিমরা। তাদের এ ধরনের প্রতিটি পদক্ষেপই ইউক্রেন সংঘাতকে আরও উস্কে দেবে। শুধু তাই নয়, একই পরিস্থিতি বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও সৃষ্টি করতে চায় তারা। পশ্চিমাদের পরবর্তী লক্ষ্য তাইওয়ান।

এদিকে, বাইডেনের সফর শেষ হতে না হতেই বাখমুতে আরও ২টি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply