দিনাজপুরে ক্রমেই বাড়ছে আত্মহত্যা

|

দিনাজপুরে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। পুলিশের তথ্য বলছে, গত বছর জেলায় আত্মহত্যা করে মারা গেছেন ৪৫২ জন। এরমধ্যে তরুণ-তরুণীর সংখ্যাই বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ, প্রেমে ব্যর্থতা, আর্থিক সংকটের কারণে বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা।

সম্প্রতি প্রেমজনিত কারণে আত্মহত্যা করে স্কুল পড়ুয়া ওয়াদুদ। আর্থিক টানাপোড়নের মাঝেও সন্তানের পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মা-বাবা। তার এমন মৃত্যুতে মুহূর্তেই সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে হিলির দরিদ্র এই পরিবারটির।

এদিকে, এইচএসসি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফল করতে না পেরে সম্প্রতি আত্মহত্যা করেন দিনাজপুর সদরের নওশীন জাহান নামের এক শিক্ষার্থী। বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের মতো যোগ্য হতে না পারার আক্ষেপের কথা লিখে যান চিরকুটে। দিনাজপুরে দিন দিন এভাবেই আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে চলেছে।

এ নিয়ে দিনাজপুর ঘোড়াঘাট থানার ওসি বলেন, ১৭-১৮ বছর থেকে শুরু করে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত আত্মহত্যার ভিকটিমকে আমরা উদ্ধার করেছি। দাম্পত্য কলহ, প্রেমে ব্যর্থতা ও আর্থিক সংকটের মতো কারণে ঘটনাগুলো বেশি ঘটছে। তবে কম বয়সীদের মধ্যে প্রেমঘটিত বিষয়ই বেশি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রযুক্তির অপব্যবহার, মানসিক বিষন্নতা ও পারিবারের সাথে দূরত্বের কারণেই বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। হাকিমপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তি একদিকে যেমন মানুষকে এগিয়ে দিয়েছে, তেমনই বিশেষ করে তরুণ সমাজকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। কর্মব্যস্ততার কারণে বাবা-মাও ছেলে-মেয়েকে সময় দিতে পারেন না। ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বেশি।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে পরিবারের সদস্যের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply