ইউক্রেনের বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ পাবার দ্বারপ্রান্তে রাশিয়া

|

ইউক্রেনের ‘বাখমুত’ শহরের নিয়ন্ত্রণ পাবার দ্বারপ্রান্তে রাশিয়া। একদিনেই শহরের চারপাশে ১৩০ দফা হামলা চালিয়েছে রুশবহর। যার বেশিরভাগ নস্যাৎ করার দাবি ইউক্রেনীয় প্রশাসনের। এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক নারী ও দুই শিশু। এ পরিস্থিতিতে সেনা অবস্থানে রদবদলের পরিকল্পনা করছে মস্কো। খবর বার্তা সংস্থা এপির।

বাখমুত যে শিগগিরই রাশিয়ার দখলে যাবে; সেটা নিয়ে কোনোপক্ষের সংশয় নেই। যেকোনো দিন ইউক্রেনের হাতছাড়া হবে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটি। তবে জেলেনস্কি প্রশাসনের কণ্ঠে নতুন সুর। তারা বলছে- বিপুল সংখ্যক সৈন্য ও অস্ত্র-গোলাবারুদ হারাবে মস্কো।

ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের কয়েকটি এলাকায় রাতভর হামলা চালিয়েছে রুশবহর। ২১ দফা চালানো হয় বিমান অভিযান। তাছাড়া লোকালয়ে পড়েছে অন্তত ৪টি শক্তিশালী মিসাইল। যাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ঘরবাড়ি-স্থাপনা। অবশ্য, শতাধিক হামলা প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছে কিয়েভ। শত্রুপক্ষের প্রায় পাঁচশ’ সেনা হতাহত হয়েছে।

এদিকে, নিয়ন্ত্রণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়ায় রণকৌশলে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া। অবশ্য ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি- অস্ত্র সংকটে ভুগছে রুশ সেনাদল এবং মিত্র সশস্ত্র সংগঠনগুলো। সে কারণেই পিছু হঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুশবাহিনী।

ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বলেন, এ মুহূর্তে যদি বাখমুত থেকে ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যদের সরানো হয়; তাহলে পুরো ফ্রন্টলাইন তছনছ হয়ে যাবে। রাশিয়ার স্বার্থে যুদ্ধরত কোনো সশস্ত্র সংগঠনের জন্যেই পরিস্থিতি খুব একটা মধুর নয়। এমনকি মস্কোর তরফ থেকেও প্রতিশ্রুত অস্ত্র-গোলাবারুদ আসেনি। এটা ষড়যন্ত্র নাকি কূটনৈতিক জটিলতা- সেটাই খোঁজা হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর মানসিক চাপ অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা মহল। তাদের বক্তব্য- যুদ্ধের ইতি টানতে দরকার সমঝোতায় বসা।

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের এবার বোঝা উচিত কোনোভাবেই তিনি যুদ্ধে জয়ী হতে পারবেন না। আন্তর্জাতিক মহলের শর্ত মেনে এখনই সেনাদল প্রত্যাহার করুক। যুদ্ধের ইতি টানতে সমঝোতা আলোচনার বিকল্প নেই। অন্যদিকে তাকালে দেখতে পাবেন, ইউক্রেনীয় বহর শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।

উল্লেখ্য, বাখমুত মূলত লবণ ও জিপসাম খনির জন্য পরিচিত। বিশ্লেষকরা বলছেন, শিল্পনগরীটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে পুরো দোনবাস দখল করা রাশিয়ার জন্য অনেকটাই সহজ হবে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply