যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ঝুঁকিতে ব্যাংকিং খাত

|

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের টালমাটাল ব্যাংকিং খাতে আরও দুঃসময় আসছে, এমন সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। তাদের দাবি, একাধিক ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পর আঞ্চলিক ও ছোট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আস্থা হারাচ্ছেন আমানতকারীরা। আর তাই এসব প্রতিষ্ঠান বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। যদিও পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানা আশ্বাস দিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকার। খবর এপির।

প্রথমে সিলভারগেট এরপর সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংক— একে একে দেউলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। মার্কিন ব্যাংক সেক্টরের এই ঝড়ের প্রভাব পড়েছে ইউরোপেও। দেউলিয়াত্ব ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিপুল ঋণ নিতে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং জায়ান্ট ক্রেডিট সুইস।

যদিও ১৫ বছরের আগের সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে মূলধন বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। তবে পরিস্থিতি যেভাবে খারাপ হচ্ছে, তাতে বিশ্লেষকদের মত, টালমাটাল ব্যাংকিং খাতে সামনে আরও কঠিন সময় আসছে। বিশেষ করে ছোট ও আঞ্চলিক ব্যাংকগুলো পড়তে পারে ভয়াবহ সংকটে।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষক সুসানা স্ট্রিটার বলেন, সবশেষ অর্থনৈতিক সংকটের পর ব্যাংকগুলো তাদের তারল্য বাড়িয়েছে এবং এ খাতে বেশকিছু কঠোর নীতি প্রণয়ন করা হয়। তবে সমস্যা হচ্ছে ট্রাম্পের আমলে আঞ্চলিক ব্যাংকগুলোতে এই নীতি অনেকটা শিথিল ছিল। এছাড়া, অনেকেই ছোট ব্যাংকে নিজেদের অর্থ নিরাপদ মনে করছেন না। তাই অর্থ তুলে বড় ব্যাংকগুলোতে রাখার প্রবণতা বাড়ছে। কাজেই বলা যায়, ব্যাংকিং খাতে আরও খারাপ পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা উচিৎ।

যদিও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকার নানা আশ্বাস দিচ্ছে। তবে বিশ্লেষকদের শঙ্কা, বিনিয়োগকারী ও আমানতকারীরা আস্থা হারাতে শুরু করলে বিপদ আরও বাড়তে পারে।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ভিক্টোরিয়া স্কলার বলেন, যদিও অতীতের চেয়ে ব্যাংকগুলোতে এখন মূলধন অনেক বেশি। তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানগুলোর পতন বিনিয়োকারীদের ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। নিশ্চিতভাবেই সিলিকন ভ্যালির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে ব্যাংকগুলো বাজারে তাদের অবস্থান সম্পর্কে আস্থা তৈরির চেষ্টা করবে। যাতে আমানতকারীরা আতঙ্কিত হয়ে অর্থ তুলে না নেয়।

যদিও বিশ্লেষকরা এমনটাও বলছেন, বর্তমান ব্যাংকি সিস্টেমে ঝুঁকি আগের চেয়ে অনেক কম।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply