যেভাবে আটক হলেন নথি ফাঁসকারী পেন্টাগন কর্মকর্তা

|

সিএএনএন থেকে সংগৃহীত ছবি।

নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁসকারী হিসেবে প্রধান সন্দেহভাজনকে। তিনি পেন্টাগনের সাইবার ইন্টেলিজেন্স বিভাগে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে। খবর সিএনএনের।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) এক অভিযান চালিয়ে ম্যাসাচুসেটসের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয় এয়ার ফোর্স ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য জন টেক্সেইরাকে (২১)। জানা গেছে, একটি অনলাইন গেমের চ্যাটরুমে তিনি পেন্টাগনের শতাধিক গোপন নথি শেয়ার করেন।

জন টেক্সেইরা।

জানা গেছে, কয়েক ঘণ্টা নজরদারির পর ম্যাসচুসেটসের একটি বাড়িতে আকস্মিক অভিযান চালায় এফবিআই। বন্ধ করে দেয়া হয় আশেপাশের সব সড়ক। বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট সংযোগও। এরপরই ভেতর থেকে আটক করে আনা হয় এয়ার ফোর্স ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য জন টেক্সেইরাকে। সম্প্রতি বিশ্ব তোলপাড় করা পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁসের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ২১ বছর বয়সী এ তরুণ।

আটকের পর জন টেক্সেইরা।

এফবিআই সূত্রে জানা গেছে, একটি অনলাইন গেমের চ্যাটরুমে গোপন ওই ফাইলগুলো শেয়ার করেছিলেন জন। তদন্তে জানা গেছে, গেমারদের মাঝে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ডিসকর্ডে ফাঁস করা হয়েছে অন্তত ১০০টি নথি। ওই অনলাইন চ্যাট গ্রুপটির পরিচালক ছিলেন জন। গ্রুপটির ২৪ জন সক্রিয় সদস্যের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়া-ইউক্রেনের নাগরিকও।

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড.

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এ প্রসঙ্গে বলেন, টেক্সেইরার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথমত, তিনি রাষ্ট্রের গোপন নথি চুরি করেছেন। দ্বিতীয়ত, যে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিলো তাতে অবহেলা করেছেন জন। ফলে, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হবে।

এর আগে, ২০১৯ সালে এয়ার ফোর্স ন্যাশনাল গার্ডে যোগ দেন জন টেক্সেইরা। এরপর, গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। দ্রুতই সাইবার ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম জার্নিম্যান পদে নিযুক্ত হন তিনি। একই সাথে পান রাষ্ট্রীয় নথিপত্র লিপিবদ্ধ রাখার স্থানে প্রবেশাধিকার।

এ প্রসঙ্গে পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, গোয়েন্দা বিভাগের চাকরিতে ঢোকার আগেই অপ্রকাশ্য চুক্তিতে আমরা সাইন করি। বোঝাই যাচ্ছে, এটা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো অপরাধমূলক তৎপরতা। স্পষ্টভাবে নিরাপত্তা নীতিমালার লঙ্ঘন। ফাঁস হওয়া নথিগুলোর প্রকাশ ঠেকাতে চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি- জনতার যতোটুকু প্রয়োজন; সময়মতো তাদের সেগুলো জানানো হবে। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে আরও সুরক্ষিত রাখা হবে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি।

প্রসঙ্গত, নথি ফাঁসের বিষয়টি প্রথম নজরে আসে গত মার্চ মাসের শেষ দিকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ডিসকর্ডে প্রকাশ করা হয় নথিগুলোর বেশ কিছু ছবি। গত শুক্রবার নথিগুলোতে থাকা তথ্যও ফাঁস হতে থাকে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply