রিয়াজ রায়হান:
খুব শিগগিরই সুদিন ফিরছে না বঙ্গবাজার ও নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের। বঙ্গবাজারে অস্থায়ী বাজারের অর্ধেকই খালি আর নিউ মার্কেটের তিন তলা ঈদের আগে চালু করার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় কিভাবে ঈদ কাটবে তা নিয়েই চিন্তা দোকানিদের। অবস্থার পরিবর্তনে সরকারের কার্যকর সহায়তা চান তারা।
বঙ্গবাজারের সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার তেমন সমাগম নেই। অলস শুয়ে-বসে আছেন বিক্রেতারা। অথচ কথা ছিলো মানুষের সমুদ্রে তিল ধারনের ঠাঁই মিলবে না এখানে। কিন্তু এখন বলতে গেলে পুরো মাঠের অর্ধেকই খালি। এদিকে ঈদের মাত্র দিন দুয়েক বাকি।
সারাদেশের জামাকাপড়ের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার একটি বঙ্গবাজার। চার এপ্রিল ভোরের আগুন পথে বসিয়ে দিয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান মালিক-কর্মচারিকে। ঈদে কোনমতে চলার জন্য ব্যবস্থা করা হয় অস্থায়ী মার্কেটের। কিন্তু গরমের মাত্রা যখন ৪০ ডিগ্রির আশপাশে তখন ক্রেতাদের পা পড়ে না সেখানে।
মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় সরকার থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেই অনুদান নিয়েও আছে অভিযোগ। তবে সেগুলো খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিচ্ছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
নিউ সুপার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, নিউ মার্কেটসহ পাশের বিপণি বিতানগুলোতে যখন দোকানিদের দম ফেরার জো নেই তখন নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত পোড়া ক্ষত সারাতে। ঈদের আগে দোকান খোলার ক্ষীণ আশায় রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
আগুনসহ নানা সমস্যায় এবার ঈদের বাজারে প্রত্যাশার তুলনার অন্তত এক লাখ কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীরা অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে। তবে একটু সময় লাগবে। যেভাবে মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন, তাতে আমার মনে হয় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আর বাকি যতটুকু দরকার তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এবং আমাদের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আমরা সেগুলো করতে পারবো।
এএআর/
Leave a reply